06/27/2025 সিরাজদিখানে জমির আখ জমিতেই নষ্ট হচ্ছে, লোকসান গুনছে কৃষকরা
Mahbubur Rohman Polash
২০ আগস্ট ২০১৯ ১৯:৫১
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে রোপীত মৌসূমি আখের জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকায় এবং রোগাক্রান্ত হয়ে জমির আখ জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পরে। আর একারণেই কৃষকরা তাদের জমির আখ বিক্রি করতে না পেরে বড় ধরণের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এবছর বর্ষার পানি হঠাৎ কমে যাওয়ার ফলে আখের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পায়নি। আর সে কারণেই আখে ধরেছে বিভিন্ন প্রকার রোগ। ফলে আখ মোটা এবং পরিপূর্ণভাবে বেড়ে উঠতে পারেনি। কৃষকদের অভিযোগ কৃষি অফিসাররা আখের রোগ বালাই থেকে প্রতিকারে সরেজমিনে এসে তেমন কোন ভূমিকা পালন করেননি। গত বছর শহরের পাইকাররা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আখ চাষীদের কাছ থেকে আখ কিনলেও এ বছর সম্পূর্নই ভিন্ন। এমনকি এই উপজেলাতেও আখ তেমন বিক্রি হচ্ছে না। ফলে বেশীর ভাগ আখ চাষীরাই গুনেছেন লোকসান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর সিরাজদিখান উপজেলায় দুই’শ পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়। এ বছর একশত পয়তাল্লিশ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়। যা গত বছরের তুলনায় এক’শ পাঁচ হেক্টর কম। তবে কৃষি অফিসাররা বলছেন, কৃষকরা তাদের আখ বীজ পরিপূর্ণ ভাবে শোধন না করে বীজ বপন করার ফলে আখ রোগাক্রান্ত হয়েছে।
কোলা গ্রামের কৃষক আতাহার বলেন, আমি ১৫ গন্ডা আখ বুনেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পেরেছি। আর বাকী আখ ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। আগের মত ঢাকা থেকে পাইকাররা আখ কিনতে আসে না। তাই ১০ টাকার আখ ৩ টাকায়ও বিক্রি করতে পারছি না।
রশুনিয়া গ্রামের কৃষক মোঃ আসলাম বলেন, আমি ১০ গন্ডা আখ বুনেছিলাম। কিন্তু আখে রোগ ধরে যাওয়ায় একটাকাও বিক্রি করতে পারি নাই। এতে আমার ৪০ হাজার টাকা লস হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, এবার আখের রোগ ধরেছে এবং তারা ক্ষতির সম্মূক্ষিন হয়েছে বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে আমরা মিটিংয়ে অফিসারদের বলি তারা যেন কৃষকদের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করে। আজকে আমিও এক কৃষকের আখ খেতে গিয়ে পরিদর্শন করলাম। আমি আমাদের পাশাপাশি কৃষকরাও যেন তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আমাদের স্বরণাপন্ন হন।