05/06/2025 ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
Mahbubur Rohman Polash
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:০০
বিক্ষোভরত এক নারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায়, "আমার শরীর সরকারের সম্পত্তি নয়।"
ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ করতে প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। দেশটির পার্লামেন্টের সামনে ছাড়া অন্যান্য শহরেও এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, আইনটি গৃহীত হলে, বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং শাস্তি হিসেবে একবছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। পাশাপাশি বিয়ে ছাড়া একসঙ্গে বসবাসের ক্ষেত্রে ছয়মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে।
এছাড়া দেশটির প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ধর্ম, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সঙ্গীতের মতো প্রতীক অবমাননা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা বা ধর্ষণের পরিস্থিতি না হলে গর্ভপাতের শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ চারবছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
প্রস্তাবিত বিলটি পাস হতে দেরি হলেও বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন শেষ পর্যন্ত সংসদে বিলটি অনুমোদিত হতে পারে।
প্রস্তাবিত আইনটির বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার অনেক শহরের রাস্তায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নেমে আসেন, যাদের অনেকেই শিক্ষার্থী। মূল বিক্ষোভ হয় রাজধানী জাকার্তায়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সংসদের স্পিকার বামবাং সোয়েসাতেয়ো'র সঙ্গে দেখা করার দাবি জানান।
এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়লে পুলিশ তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে।
বিক্ষোভরত এক নারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায়, "আমার শরীর সরকারের সম্পত্তি নয়।"
এদিকে সুলাওয়েসি দ্বীপের ইয়োগিয়াকার্তা ও মাকাসাসহ আরও কয়েকটি জায়গায় দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ চলেছে।
পশ্চিম জাভা'র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ বছর বয়সী ছাত্র ফুয়াদ ওয়াহইউদিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, "দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয় বরং দুর্নীতিবাজদের পক্ষে। এই নতুন আইনের বিরোধিতা করতে সংসদে যাবো আমরা।"
প্রাথমিকভাবে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংসদে এই বিলটির বিষয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো শুক্রবার পর্যন্ত ভোট স্থগিত করেন। তিনি বলেন, নতুন আইন বাস্তবায়নের আগে আরও বিবেচনা প্রয়োজন।