odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

রোহিঙ্গাদের সফল ও টেকসই প্রত্যাবাসনে দক্ষিণ কোরিয়ার সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১১ December ২০২০ ০৩:৪৪

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১১ December ২০২০ ০৩:৪৪

 

 

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন চাইছি,’ বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার (রিপাবলিক অব কোরিয়া) নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কুয়েন আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
উত্তরে রাষ্ট্রদূত লি আশ্বাস দিয়েছেন যে, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে তাঁর সরকার বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তাঁর সরকারের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষত হাইটেক পার্কগুলোতে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশের সুযোগ নিয়ে বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে।’
উত্তরে রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কুয়েন আইসিটি এবং ইলেকট্রনিক্সে বাংলাদেশের সাথে চলমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কোরিয়ান ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে (আইসিটি) বাংলাদেশের ভবিষ্যত,’ আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত বলেন যে, তাঁর সরকার ইতোমধ্যে আইসিটি বিভাগের সাথে আইটি ব্যবসা শুরু করতে এবং এখানে আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ কর্মসূচিতে কাজ করছে।
লি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনের গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন যে,‘ কোভিড -১৯ মহামারী চলাকালীন সময়েও বাংলাদেশ তাঁর প্রবৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশের উপরে বজায় রেখেছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ।’
‘বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অভিযাত্রায় তাঁর সরকারও অংশীদার হতে চায়,’ যোগ করেন তিনি।
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দায়িত্ব পালনকালে তাঁকে সবরকম সহযোগিতার আশ^াস দেন।
উত্তরে, দুই দেশের মধ্যে বিম্যমান সম্পর্কের আরো উত্তোরণ ঘটানোই তাঁর অগ্রাধিকার বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
সমগ্র জাতি যখন তাঁদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করছেন ঠিক এমন একটি সময়ে তিনি বাংলাদেশে আসাতে আনন্দ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: