odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রী অদিতার খুণি কোচিং শিক্ষক রনি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৫ September ২০২২ ০৮:৪২

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৫ September ২০২২ ০৮:৪২

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর লক্ষ্মী নারায়ণপুরে অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে কোচিং শিক্ষক আবদুর রহিম রনি।

শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে প্রেস কনফারেন্সে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আসামি কোচিং শিক্ষক আবদুর রহিম রনি।
আবদুর রহিম রনি (৩০) নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মী নারায়ণপুরে মহল্লার লাতু কাউন্সিলরের বাড়ির খলিল মিয়ার ছেলে।
এসপি বলেন, রনি নামে এক যুবকের কাছে প্রাইভেট পড়ত নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অদিতা। হঠাৎ করে অদিতা তার কাছে প্রাইভেট পড়তে অনীহা প্রকাশ করে এবং নতুন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে শুরু করে। এতে রনি নাখোশ হয়। এ বিষয়সহ অদিতার ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানার জন্য তাৎক্ষণিক রনিকে প্রথমে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। তখন তার থুতনি ও ঘাড়ে নখের আঁচড়ের তাজা দাগ দেখতে পায়। নখের আঁচড়ের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। তার থেকে কোন সদুত্তর না পেয়ে তার বিষয়ে আরো সন্দেহ জোরালো হয়। তখন তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে আদালতে সোপর্দ করে ১০দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
আদালত রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রনি ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।
এসপি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার  বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে অদিতার বাসায় যায় সাবেক কোচিং শিক্ষক রনি। বাসায় গিয়ে বন্ধ দরজা নক করলে অদিতা বাসার দরজা খুলে দেয়। তখন সে বাসায় প্রবেশ করে অদিতার সঙ্গে গল্পগুজব করে। গল্পগুজবের একপর্যায়ে রনি অদিতাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর রাগান্বিত হয়ে অদিতা বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে রনি অদিতাতে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে রান্না ঘর থেকে ছোরা এনে অদিতার বাম হাতের রগ এবং গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে হাতের বাঁধন খুলে দেয়। এরপর আসামি রনি ঘটনাকে ভিন্ন খাতে রুপ দিতে ঘরের আলমিরা ও ওয়ারড্রবের জামা-কাপড়, কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রুমের দরজা লক করে এবং মূল ঘরের দরজা বাহির থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
শনিবার দুপুরে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি রনি এসব কথা বলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: