odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

মিয়ানমার এ রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায় এ সরকার সফল - শেখ হাসিনা

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৬ November ২০১৭ ২০:২০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৬ November ২০১৭ ২০:২০

রোববার রাজধানীতে প্রথমবারের মতো ‘রাষ্ট্রদূত সম্মেলনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যে কোনো সমস্যা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা উল্লেখ্ করে বলেন, “কেন আমাকে তৃতীয় কাউকে ডাকতে হবে?” গত সপ্তাহের শেষে মিয়ানমারে র সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে একটি সম্মতিপত্রে সই করেছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, ১৯৯২ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণার আলোকে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া নিজ দেশের অধিবাসীদের ফেরত নেবে মিয়ানমার। রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে বিভিন্ন সময়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ১৯৭৮ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে মিয়ানমারের আরাকান থেকে রোহিঙ্গাদের চলে আসার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে অন্তত একটা সমঝোতা করতে পেরেছি, যার মাধ্যমে আমরা আশা করি, অন্তত এই মিয়ানমার নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে পারব।” এবার গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো দমন-পীড়নের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আলোচনায় সম্মত হয় মিয়ানমার। প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে সম্পৃক্ত করার দাবি থাকলেও মিয়ানমার তাতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে নতুন চুক্তি করে প্রত্যাবাসনের উপর জোর দিয়ে এলেও বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের চাহিদা অনুযায়ী ১৯৯২ সালের যৌথ ষোষণার আওতায় সমঝোতায় রাজি হয়।মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে গতবছর থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্মতিপত্র স্বাক্ষর হওয়াকে ‘বিরাট সাফল্য’ বলে দাবী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৯ অক্টোবর সেনা অভিযানের মুখে ৮৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আর এবার ২৫ অগাস্টের পর নতুন করে বাংলাদেশে আসে সোয়া ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “কোনো সন্দেহ নেই … তারপরও যেহেতু প্রতিবেশী দেশ, প্রতিবেশী দেশের সাথে আমরা একটা ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে চাই।”



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: