odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

মাওলানা আতাহার আলীকে বাদ দিয়ে দেশের জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৫ November ২০২৪ ২১:৩০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৫ November ২০২৪ ২১:৩০

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের ইতিহাস গ্রন্থে যুক্তফ্রন্টের আলাদা অধ্যায় আছে। সেখানে মওলানা আতাহার আলীর নাম আছে। মাওলানা আতাহার আলীকে বাদ দিয়ে দেশের জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না।

আজ বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের শফিউর রহমান অডিটোরিয়ামে হয়রত আল্লামা আতাহার আলী (রহঃ) জীবন, কর্ম ও অবদান শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জের আল জমিয়াতুল ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমদ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বইটির লেখক মওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেন, অতীতে মাওলানা আতাহার আলীর অবদানকে ইতিহাসে খাটো করে দেখানো হয়েছে। আগামী দিনে যে ইতিহাস বই রচিত সেখানে তাকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হবে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, হযরত আল্লামা আতাহার আলীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নেজামে ইসলাম পার্টি থেকে ৩৬ টি আসনে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। তার মৃত্যুর কারণে নেতৃত্বের যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল সেটা আজও পূরণ হয়নি।

ড. খালিদ বলেন, বাংলাদেশের সংসদ লাইব্রেরিতে মাওলানা আতাহার আলীর উর্দু ভাষায় অনেক বক্তৃতা আছে। পাকিস্তান পার্লামেন্টের লাইব্রেরিতেও তার অনেক বক্তৃতা আছে।

এগুলোকে সংকলিত করলে সমসাময়িক রাজনীতির স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে। তার গোছানো বক্তৃতায় আমাদের মাতৃভাষা, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্য ও জনগণের অধিকার নিয়ে কথা আছে। তার বক্তৃতা যদি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে উপস্থাপন করতে পারি তাহলে তাকে নিয়ে রচিত বই সমৃদ্ধ হবে, জাতি অনেক কিছু জানতে পারবে।

ড. খালিদ আরো বলেন, অনেক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে মাওলানা শফিকুর রহমান বইটি রচনা করেছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এই বইটি আমাদের পথ দেখাবে। এ বই এদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি সমৃদ্ধ আলেখ্য। এ বই বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মাওলানা আতাহার আলীর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের প্রতি আলোকপাত করে উপদেষ্টা বলেন, তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী। তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, একে ফজলুল হক ও আইয়ুব খানের সাথে তিনি রাজনীতি করেছেন। একইসাথে তিনি একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, হাদীসেরও মুহাদ্দিস ও মসজিদের ইমাম ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: