odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

চট্টগ্রামে দুই কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১০

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১১ January ২০২৫ ২২:১৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১১ January ২০২৫ ২২:১৭

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড)-এ দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের পর কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, বাৎসরিক ৯ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলনের মুখে অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিয়েছে। একই দাবিতে অন্য কারখানাগুলোর শ্রমিকরাও আন্দোলন শুরু করে।

জেএমএস কারখানার শ্রমিক নুরুল আমিন জানান, সকালে আন্দোলনে নামে শ্রমিকরা। এ সময় হঠাৎ জেএমএস ও মেরিমো কারখানার শ্রমিকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

জানা গেছে, আহত ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- মহিবুল (২৬), ফরিদা (৪০), ইলিয়াস (৩৪), বিদ্যুৎ (৩০), শিউলি (২৪), চঞ্চল (২৮) ও মনোয়ারা (৩৩)।

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, আন্দোলনের সময় কারখানার মূল গেইট খোলা নিয়ে এক কারখানার শ্রমিকের সঙ্গে আরেক কারখানার শ্রমিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঢিল ছুড়তে থাকে। এতে অনেকেই আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, জেএমএস ও মেরিমো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে সেনাবাহিনী, নেভি, শিল্প পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সর্দার মনির হোসেন বলেন, ‘১২টার পর থেকে আহতরা হাসপাতালে আসতে শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন হাসপাতালে এসেছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: