odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সৌন্দর্য, আত্মবিশ্বাস আর অনুপ্রেরণা—আজও রহস্যময়ী মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৫

অধিকারপত্র বিনোদন ডেক্স:

১৯৯৪ সাল। মাত্র ১৮ বছর বয়সের এক ভারতীয় কন্যা বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়ে জয় করে নিলেন মিস ইউনিভার্স খেতাব। তিনি আর কেউ নন—সুস্মিতা সেন। সেই দিন থেকেই ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে যায় তাঁর নাম।

 কিভাবে মিস ইউনিভার্স?

প্রতিযোগিতার শেষ মুহূর্তে তাঁর তীক্ষ্ণ উত্তর, আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি আর স্বতঃস্ফূর্ত হাসিই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছিল। বিচারকদের চোখে তিনি শুধু সুন্দরী নন, ছিলেন বুদ্ধিমতী ও সাহসী। সেই গুণেই প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে তিনি হয়ে ওঠেন মিস ইউনিভার্স

 গ্ল্যামার আর আকর্ষণীয় ফিগার

আজও সুস্মিতার সৌন্দর্যের রহস্য নিয়ে বলিউডে আলোচনা থামে না। ৫০ পেরিয়েও তাঁর ফিটনেস, সুঠাম ফিগার এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব অনেক তরুণীকে অনুপ্রাণিত করে। নিয়মিত যোগব্যায়াম, জিম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আর মানসিক প্রশান্তি তাঁকে ধরে রেখেছে গ্ল্যামারাস ও আত্মবিশ্বাসী রূপে।

 মাতৃত্বের সাহসী সিদ্ধান্ত

শুধু অভিনেত্রী নয়, তিনি একজন সাহসী মা। বিয়ের আগেই দুই কন্যাকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। রেনে ও আলিসাহ—এই দুই কন্যাই তাঁর জীবনের আসল শক্তি। সুস্মিতা নিজেই বলেন, “মাতৃত্ব আমার সবচেয়ে বড় জয়।”

অভিনয়ে নতুন দিগন্ত

চলচ্চিত্রে ‘Biwi No.1’, ‘Main Hoon Na’ কিংবা ‘Maine Pyaar Kyun Kiya’-তে দর্শক তাঁকে দেখেছেন গ্ল্যামার কুইন হিসেবে। কিন্তু OTT প্ল্যাটফর্মে ‘Aarya’ সিরিজের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন—অভিনয়ে তিনি এখনো প্রথম সারির। আর ‘Taali’ সিরিজে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাক্টিভিস্টের চরিত্রে তাঁর অসাধারণ অভিনয় তাঁকে নতুনভাবে আলোচনায় এনেছে।

রহস্যময়ী সুস্মিতা

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বহুবার গুঞ্জন ছড়ালেও সুস্মিতা সবসময় নিজের মতো করে চলেছেন। সম্পর্ক ভেঙেছে, আবার নতুন বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে—কিন্তু তিনি কখনো সমাজের চাপকে গুরুত্ব দেননি। তাঁর চোখে তিনি একজন পূর্ণাঙ্গ নারী, একজন যোদ্ধা, যিনি নিজের গল্প নিজেই লেখেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: