
অধিকার পত্র ডটকম :
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে ওঠা শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইতোমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আইন অমান্য করে দেওয়া লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার সৈকতের প্রাকৃতিক বালিয়াড়ি ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। অথচ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী এ অঞ্চলে স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনো ধরনের নির্মাণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আদালতের নির্দেশনা অমান্য
১৯৯৯ সালে কক্সবাজার-টেকনাফ উপকূলকে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ইসিএ ঘোষণা করে। পরে একাধিকবার হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টও এ এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ করে রায় দেন। তবুও প্রভাবশালীদের প্রভাব ও প্রশাসনের উদাসীনতায় সৈকতের বালিয়াড়িতে দোকানপাট গড়ে উঠেছে।
পরিবেশবিদদের মতামত
পরিবেশবিদরা মনে করছেন, কক্সবাজারের প্রাকৃতিক বালিয়াড়ি কেবল পর্যটন আকর্ষণের জন্য নয়, বরং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ধ্বংস হলে উপকূলীয় পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হবে। তাই সরকারের এই উচ্ছেদ কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।
ভবিষ্যৎ নির্দেশনা
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া ভবিষ্যতে যেন আর কোনো স্থাপনা তৈরি না হয়, সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোরভাবে সতর্ক করা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: