
অধিকারপত্র ডটকম :
ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার সুজাপুর গ্রামের এনায়েত উল্যাহ বাপ্পী (২৬) নামের একজন কাঠমিস্ত্রি সম্প্রতি সমালোচনার কেন্দ্রে। নিজেকে ‘জুলাইযোদ্ধা’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে সরকারি সুবিধা গ্রহণ, আদালতে প্রভাব বিস্তার এবং চাঁদাবাজি সংক্রান্ত অভিযোগের কারণে তিনি স্থানীয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
২০২৩ সালের ১৯ জুলাই ফেনী শহরের ইসলামপুর সড়কে ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে তিনি পরবর্তীতে নিজের নাম ‘জুলাইযোদ্ধা’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর তিনি গেজেটভুক্ত হন এবং সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেন। তবে, এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, কারণ তার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ৪ আগস্ট এবং বিয়ে ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা ‘জুলাইযোদ্ধা’ দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন, তবে পরদিন তা প্রত্যাহার করেন। স্থানীয় অনুসন্ধানে জানা গেছে, এনায়েত উল্যাহ বাপ্পী সরকারি অফিসে প্রভাব বিস্তার ও মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগেও জড়িত ছিলেন।
ফেনী জেলার সাবেক মেম্বার বেলায়েত হোসেন বেলু জানিয়েছেন, “কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করা বাপ্পি বর্তমানে লক্ষাধিক টাকার মালিক। তার ছোট ভাই হৃদয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সম্প্রতি স্থানীয় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত অব্যাহত রাখছে এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: