odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২

দুর্গাপূজার শক্তিশালী অর্থনৈতিক বিস্তার

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:০৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:০৬

অধিকার পত্র ডেস্ক 

স্বপ্নপুষ্ট উৎসব, অর্থবাণিজ্যের বাতিঘর

শরতের শুভ্র আকাশ, কাশফুলের মৃদু গন্ধ, শিশির ভেজা ঘাস — এসবই জানিয়ে দেয় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মিলনের সৃষ্টির আগমন। যদিও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দুর্গাপূজা রয়েছে প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে, এটি উদযাপনের মাত্রা হিসেবে সাধারণ ধর্মীয় উৎসবের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আজ এটি হয়ে উঠেছে সকলের উৎসব, যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি ও ব্যাবসা মিলে একাকার।

এই উৎসবে শুধু পূজা-আচার নয়, অর্থনৈতিক গতিশীলতা এমনভাবে কাজ করে—পোশাক, খাদ্য, আলোকসজ্জা, প্রতিমা, পরিবহন, হস্তশিল্প—সব দিকেই চাহিদা বাড়িয়ে দেয়।

মণ্ডপ সংখ্যা ও সরকারি অনুদান

য়ডূ২০২৫ সালে বাংলাদেশে ৩৩,৫৭৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে; এটি আগের বছরের তুলনায় একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।
সরকারও পার্শ্বে থেকে সহায়তা দিচ্ছে — ২০২৫ ঈদ উপলক্ষে দুর্গাপূজার মণ্ডপ বর্ধনের জন্য ৫ কোটি টাকা সরকারি অনুদান রাখা হয়েছে।

অর্থনীতির চাকা ঘোরায় দুর্গোৎসব

দুর্গাপূজা শুধুমাত্র ধর্মীয় মিলন নয়; এটি একটি বৃহৎ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বুস্টার। গ্রাম থেকে শহরের সর্বত্র উৎপাদন ও বিক্রির সুযোগে অর্থনীতির ছোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।

  • প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা, প্রতিমা শিল্প, পোশাক, গয়না, খাদ্য ও ফলমূল — সব বিভাগের চাহিদা বেড়ে যায়।
  • পরিবহন ও সরবরাহ শিল্প ও তাদের কর্মীরা লাভবান হয়।
  • গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও অস্থায়ী বাজার ও স্টল গড়ে উঠে, যা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের কাছে সুযোগ এনে দেয়।
  • দুর্গাপূজা মৌসুমে ইলিশ রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়া একটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্য

এই উৎসব ধর্মীয় সীমারেখা ছাড়িয়ে সামাজিক ঐক্য ও সহনশীলতাকে তুলে ধরে। নানান সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে — পূজা প্যান্ডেল পরিদর্শন থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ পর্যন্ত।

দুর্গাপূজা আজ শুধু প্রচলিত ধর্মীয় আচার নয়, এটি শান্তি ও ঐক্যের বার্তাও বহন করে — দেবী দুর্গার মন্দশক্তি বিনাশের রূপকথার প্রেক্ষিতে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: