odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

তদন্ত প্রতিবেদনে দোষী ছাত্রদল, সাধারণ শিক্ষার্থীরাই বহিষ্কার—কুয়েট ক্যাম্পাসে উত্তেজনা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৪ October ২০২৫ ২১:৪২

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৪ October ২০২৫ ২১:৪২

অধিকার পত্র ডেস্ক 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে ১৮ ফেব্রুয়ারি ঘটিত এক শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে যে ভুল ও পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যেই প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে পাঁচ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ৩২ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। যদিও অভিযোগকারীরা বলছেন, প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঘটনায় যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

  • এমএসসি শিক্ষার্থী সালিম সাদমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
  • লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর বিন হোসাইন, টেক্সটাইল বিভাগের শান্ত ইসলাম, মো. হৃদয়ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাফওয়ান আহমেদ ইফাজ—তাদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
  • ৩২ জন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে গঠন করা হয়েছিল, এবং অভিযোগপত্র, ভিডিও ফুটেজ, কারণ দর্শানোর নোটিশ ও শিক্ষার্থীদের জবাব মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ আছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ছাত্রদলকর্মীরা একটি ফর্ম বিতরণ করে এবং পরে তাঁরা আন্দোলনে অংশ নেন। সূত্রে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন।

কুয়েট শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের পক্ষপাত ও সিদ্ধান্তের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
একাধিক শিক্ষার্থী বলছেন, “যে কোনো দোষীর বিচার হওয়া উচিত, কিন্তু সরে আসা শিক্ষার্থীদেরকে কেন ছাঁটা হলো—এই প্রশ্ন বাকি রয়ে গেছে।”
শিক্ষকদের সমিতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এইভাবে পরিচালিত বিচার প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠানে স্ব-সম্মান ও আস্থা ক্ষুণ্ন করবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: