যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার দায়ে যুবক জহিরুল ইসলাম বাবু (৩৮)-কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৮ম আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন টিপু এ রায় দেন। তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহাবুবুর রহমান।
সাজাপ্রাপ্ত জহিরুল যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর বিশ্বাসপাড়ার মশিউর বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র ও মামলার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (৩২)-এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। ২০২২ সালের ১৫ জুলাই দুপুরে বাবু তার শ্বশুরবাড়ি অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রাম থেকে স্ত্রী বিথি ও দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়াকে (২) নিয়ে নিজ বাড়ি জগন্নাথপুর গ্রামে ফিরছিলেন।
পথে অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামে স্ত্রী ও দুই কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বাবু। মরদেহগুলো যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে চেঙ্গুটিয়া এলাকার একটি বাগানে ফেলে রাখেন। পরে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে তিনি নিজেই সদর উপজেলার বসুন্দিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে সবকিছু খুলে বলেন। সেখান থেকে ডিবি পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
তদন্ত ও রায় :
এ ঘটনায় বিথির বাবা মুজিবর রহমান অভয়নগর থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেন, ১১ বছর আগে বাবুর সঙ্গে বিথির বিয়ে হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দাবিতে বাবু বিথিকে মারধর করতেন। একপর্যায়ে তাকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হলেও নির্যাতন থামেনি। ঘটনার দিনও দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং বাবু বিথিকে মারধরও করেন। একপর্যায়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে তাদের হত্যা করেন বাবু।
পুলিশের তদন্তে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই বছর ৩০ নভেম্বর অভয়নগর থানার এসআই গোলাম হোসেন আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: