অধিকারপত্র.কম–
নিউইয়র্ক, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ (হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজ):
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম (জেএসএফ) বাংলাদেশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে—২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে সংঘটিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্রের এক “কালো অধ্যায়” হিসেবে অম্লান হয়ে থাকবে।
মূল তথ্য ও দাবিসমূহ:
জেএসএফ বাংলাদেশের সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনাটি কোনো আকস্মিক সহিংসতা নয়; এটি ছিল একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, যা গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি বলেন, “সেদিন রাজধানীর পল্টনে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা এবং লাশের ওপর নৃত্য চালানো হয়—এটি মানবতার চরম অপমান।”
হাজী আনোয়ার হোসেন লিটনের দাবি, তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাতেই ওই সহিংসতা সংঘটিত হয়েছিল। এই ঘটনার জেরে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়, অবৈধ সরকার দায়িত্ব নেয় এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বিচার প্রক্রিয়া ও অভিযোগ:
বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার পর জামায়াতের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রত্যাহার করে নেয়, যা আইনের পরিপন্থী।
জেএসএফ নেতা বলেন, “ন্যায়বিচার বিলম্বিত হওয়ায় আজও ভিকটিম পরিবারগুলো ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় আছে। এটি প্রমাণ করে, বিচারহীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে দুর্বল করে।”
তিনি আরও বলেন, আত্মত্যাগী শহীদরা দেখিয়েছেন—অন্যায়, নির্যাতন ও অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি। তাই ২৮ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি আনতে হবে।
জেএসএফ বাংলাদেশের সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনের হত্যাযজ্ঞ ছিল পরিকল্পিত রাজনৈতিক সহিংসতা, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: