নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ এএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আত্মদান ও সংগ্রামের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। এই আন্দোলনের ফলে মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চা নিশ্চিত করতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে পাঠানো বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য
তারেক রহমান বলেন,
“১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লব শুধু মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়, এটি আধিপত্যবাদবিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উদ্ভবেরও সূচনা। সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়।”
তিনি জানান, সেদিন দেশের স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় সৈনিক ও জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। এই পটপরিবর্তনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
আধিপত্যবাদ ও গণতন্ত্রের ধ্বংস
তারেক রহমান অভিযোগ করেন,
“আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে হাতের মুঠোর মধ্যে ধরে রাখে। এদের নতজানু নীতির কারণে দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়াকে বহু বছর বন্দি রাখা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দেশের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালানোর সুযোগ পেয়েছিল।
বার্তা ও আহ্বান
তারেক রহমান বার্তায় সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার গুরুত্বে জোর দেন এবং বলেন,
“৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করতে হবে। জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এখন অত্যন্ত জরুরি।”

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: