odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 15th November 2025, ১৫th November ২০২৫
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের’ রায় ব্যাখ্যা

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা”

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৫ November ২০২৫ ০৪:০৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৫ November ২০২৫ ০৪:০৫

অধিকারপত্র ডটকম :

গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত বছর জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে ব্যাপক দমন-পীড়নের অভিযোগ থাকলেও তিনি এসব অভিযোগ “সুস্পষ্টভাবে” অস্বীকার করেছেন।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার অনুপস্থিতিতে যে বিচার চলছে, তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত “ক্যাঙ্গারু কোর্ট” দ্বারা পরিচালিত, যা এক প্রহসনের চিত্র। রাষ্ট্রপক্ষ সোমবার রায় ঘোষণার পর তাকে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমি অস্বীকার করছি না যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানি ঘটেছে, কিন্তু নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর কোনো নির্দেশ আমি দিইনি।”

আলোচিত অডিও ও অভিযোগ

২০২৪ সালের জুলাইয়ে “প্রাণঘাতী অস্ত্র” ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যা আদালতে অডিও হিসেবে বাজানো হয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে।

শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন যে, বিচার প্রক্রিয়ার সময় তিনি নিজের আইনজীবী নিয়োগ বা নিজেকে রক্ষা করার সুযোগ পাননি। তার মতে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগকে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে মামলা দিয়েছে।

গোপন কারাগার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশে গোপন কারাগারের সন্ধান পাওয়া যায়, যেখানে বহু বছর ধরে বন্দিদের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই রাখা হয়েছে। হাসিনা এই কারাগারে বন্দি থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, “আমার ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করছি। তবে কোনো কর্মকর্তার অপব্যবহারের প্রমাণ থাকলে তা নিরপেক্ষ ও রাজনীতিমুক্তভাবে পরীক্ষা করা হোক।”

শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন।


বিবিসি বাংলা 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: