odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 17th November 2025, ১৭th November ২০২৫

সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড — ঐতিহাসিক রায়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৭ November ২০২৫ ১৭:১৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৭ November ২০২৫ ১৭:১৮

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর ২০২৫:

২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য সদস্য ছিলেন বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলার পটভূমি

২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থান দমনে তৎকালীন সরকারের দায়ে একাধিক হত্যা, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় পাঁচটি অভিযোগ এনে সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিল প্রসিকিউশন।

পরে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্য উদঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হন। তবে শেষ পর্যন্ত আদালত মনে করেন, তার ভূমিকাও অপরাধের দায় থেকে তাকে পুরোপুরি মুক্ত করতে পারে না।

সাক্ষ্য–প্রমাণে উঠে এসেছে যা

এই মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
এর মধ্যে ছিলেন—

  • প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বাবা,
  • পরিবার হারানো আরও কয়েকজন,
  • স্টার উইটনেস নাহিদ ইসলাম (জুলাই আন্দোলনের নেতা),
  • দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান

তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত ভয়াবহ অভিযানের চিত্র উঠে আসে।

ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ

রায়ে আদালত বলেন—
গণঅভ্যুত্থান দমনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতার জন্য যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ করেছেন। রাজসাক্ষী হলেও সাবেক আইজিপির দায় রয়েছে; তাই তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায় না।

বর্তমান অবস্থা

এখন দুইটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অভিযোগের বিচার অব্যাহত রয়েছে।
আজকের রায় ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা—সেটা হলো, মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: