নিউইয়র্ক | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
মূল তথ্য / ঘটনাবলি:
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পাঁচবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়কে “রাজনৈতিক নাটক” ও “অবৈধ প্রহসনমূলক বিচার” হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ১০১ জন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানবাধিকারকর্মী, পেশাজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, কবি-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা।
তারা বলেন, এই রায় আইনের দৃষ্টিতে শূন্য, সংবিধানের দৃষ্টিতে অবৈধ এবং এটি শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার সুসংগঠিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
মতামত / অবস্থান:
প্রবাসীদের বিবৃতিতে বলা হয়—
এই ট্রাইব্যুনাল আদতে একটি “ক্যাঙ্গারু কোর্ট”, যার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত।
বিচার প্রক্রিয়া ছিল “কৃত্রিম”, “পক্ষপাতদুষ্ট” এবং “রাষ্ট্রীয় প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের হাতিয়ার”।
এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য:
বিবৃতিতে যুক্ত থাকা প্রবাসীদের একজন হাকিকুল ইসলাম খোকন বলেন—
“এটি কোনো আইনগত রায় নয়, বরং ইতিহাস, আইন ও ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে নগ্ন ষড়যন্ত্র। জনগণ এই রায়কে প্রহসন হিসেবে দেখছে।”
এদিকে একই দিন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক খুরশিদ আনোয়ার বাবলু ও নাসিমা আনোয়ার বাবলুর পুত্র পাইলট ও প্রকৌশলী নুসরাত গাজী জয় এবং মার্কিন নাগরিক চেলসি ব্লেকলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
১৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের ঐতিহাসিক ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনাতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিল্পীসহ প্রায় দুই শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—
ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, এমএ সালাম, ইঞ্জিনিয়ার জিয়া করিম, হাজী শফিকুল আলম, ড. মহসিন আলী, ড. বামন দাস বসু, সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, রমেশ নাথ, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ বখতির আলী, এমএ করিম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ, গোলাম মোস্তফা খান মেরাজ, মকবুল হোসেন তালুকদার, তাজুল ইমাম, ড. মাসুদুল হাসান ও অনেকে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: