odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 10th December 2025, ১০th December ২০২৫
বিশ্বের তিন প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বিস্তৃত ছিল সিন্ধু সভ্যতা— ব্রিটানিকা তথ্য পাকিস্তান গঠনে সিন্ধ প্রদেশের ভূমিকা ‘ঐতিহাসিক’— বিশ্লেষকদের মন্তব্য

ভারতের অংশ ছিল না সিন্ধু অঞ্চল”— মহেঞ্জোদারো আবিষ্কার ঘিরে নতুন বিতর্ক

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৭ December ২০২৫ ১৩:৩৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৭ December ২০২৫ ১৩:৩৫

বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম

এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা জানায়, বিশ্বের তিনটি প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে — মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং সিন্ধু — আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় ছিল সিন্ধু সভ্যতা। ১৯২১ সালে পাঞ্জাবের হরপ্পা ও ১৯২২ সালে বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মহেঞ্জোদারোতে এই সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়।

পাকিস্তানের রাজনীতি ও ইতিহাসে সিন্ধু সভ্যতা ঘিরে বহু বছর ধরেই তীব্র বিতর্ক রয়েছে। বিশেষত, সিন্ধি রাজনৈতিক নেতা জিএম সৈয়দের বক্তব্য সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে।


“মহেঞ্জোদারো প্রমাণ করে পাকিস্তানের অঞ্চল কখনো ভারতের অংশ ছিল না”— জিএম সৈয়দ

ইতিহাসবিদ মি. ইজাজউদ্দিন জানান, জিএম সৈয়দ বলেছিলেন—

“সিন্ধু সভ্যতার কেন্দ্র মহেঞ্জোদারোর অস্তিত্বই প্রমাণ করে সিন্ধ, পাঞ্জাব ও আফগানিস্তান ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলের নয়; বরং এগুলো মধ্যপ্রাচ্যভুক্ত এলাকা।”

তিনি আরও বলেন, সিন্ধ প্রাদেশিক আইনসভাই প্রথম ‘লাহোর প্রস্তাব’-এর ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের দাবি পাশ করেছিল ১৯৪৩ সালের ৩ মার্চ। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালের ২৬ জুন বিশেষ অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়— সিন্ধ নতুন পাকিস্তান গণপরিষদের অংশ হবে। এভাবেই পাকিস্তানে যোগদানকারী প্রথম প্রদেশ হয় সিন্ধ

সে সময় পাকিস্তান সৃষ্টির পক্ষে যারা ভোট দেন—
গোলাম হোসেন হিদায়াতুল্লাহ, মুহাম্মদ আইয়ুব খোরো, মীর বান্দা আলি খান তালপুর, পিরজাদা আবদুসাত্তার, মোহাম্মদ হাশিম গজদার, পীর ইলাহি বখশ, মিরান মোহাম্মদ শাহ, মাহমুদ হারুন প্রমুখ।
অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন স্পিকার আগা বদরুদ্দিন।


 “সিন্ধের জনগণ কখনোই ভারতের আধিপত্য মানেনি”— মি. চান্ডিয়ো

সিন্ধি বিশ্লেষক মি. চান্ডিয়ো বলেন—

“সিন্ধ ব্রিটিশ শাসনে থাকলেও একটি স্বাধীন প্রদেশ ছিল এবং পাকিস্তানে যোগ দেয় স্বেচ্ছায়। পাকিস্তান আন্দোলনে বাংলার মতোই সিন্ধের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক।”

তার কথায়, ভারতের আধিপত্য সিন্ধ জনগণ এখনও মানে না এবং ভবিষ্যতেও মানবে না।


 “ভারত–পাকিস্তান বিভক্তি এখন ইতিহাস”— বিশ্লেষক ওয়াজাহাত মাসুদ

বুদ্ধিজীবী ওয়াজাহাত মাসুদ বিবিসিকে বলেন—

“প্রায় এক শতাব্দী আগে ভারত বিভক্ত হয়ে দুটি জাতি-রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষই মেনে নিয়েছিল। এখন এসব বিতর্ক শুধু অনাবশ্যক উত্তেজনাই বাড়াবে।”



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: