odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 10th December 2025, ১০th December ২০২৫

বিএনপি-র নতুন রূপ: ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের দিকে

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৯ December ২০২৫ ২০:০২

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৯ December ২০২৫ ২০:০২

 

গতকাল প্রকাশিত একটি বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে Bangladesh Nationalist Party (বিএনপি) — তাদের বহু বছরের জোটশ্রীরী Jamaat-e-Islami থেকে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছে এবং নিজেকে “লিবারাল, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ” রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পুনরায় গঠন করতে চায়।

 কেন বদলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত?

গত ২০২৪ সালের গণসংগ্রামের পর, দেশজুড়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টেছে; অনেক মানুষ — বিশেষ করে যুবা, শহুরে মধ্যবিত্ত ও সংখ্যালঘু — এখন ধর্মনির্ভর রাজনীতির পরিবর্তে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মুক্তচিন্তার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

নবনির্বাচনের আগে, বিএনপি লক্ষ্য করছে — পুরনো ধারার ধর্মনির্ভর বা মৌলিকতা ভিত্তিক রাজনীতি নতুন ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। তাই তারা চেষ্টা করছে ধর্মনিরপেক্ষ, জাতীয় ঐক্য, ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আবার নতুনভাবে সজীব করার।


নতুন দৃষ্টিভঙ্গা: কী পরিবর্তন?

বিএনপি বলছে, “ধর্মের নামে ভোট না চেয়ে” তারা এখন জাতীয় ঐক্য, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, জনগণের অধিকার ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে প্রধান করবে।

তারা পুরনো জোটশ্রীরীর সঙ্গে ব্যবহৃত ধর্মনির্ভর রাজনীতিকে ছেড়ে, একটি নতুন, ইনক্লুসিভ — অর্থাৎ সব সম্প্রদায়, বয়স, পেশার মানুষের জন্য — রাজনীতির পথ নিতে চাইছে।

 

---

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও প্রভাব

গত ১৫ বছরের শাসন এবং এর আগে যেসব রাজনৈতিক শক্তি “ধর্ম বা ঐতিহ্য–ভিত্তিক” রাজনীতির প্রতিফলন ছিল — সেগুলোর বিরুদ্ধে এখন জনগণের মধ্যে ব্যপ্ত আগ্রহ “গণতান্ত্রিক, আধুনিক ও ধর্মনিরপেক্ষ” মূল্যবোধের প্রতি। বিএনপি এই পরিবর্তনকে উপলব্ধি করছে।

একই সময়ে, তাদের জোটবঙ্গের পুরনো সঙ্গী জামায়াত-জমায়েত থেকে দুরত্ব বাড়ছে, কারণ নির্বাচন, সাংবিধানিক সংস্কার এবং ভবিষ্যত রাজনৈতিক রূপ নিয়ে মতপার্থক্য গভীর।

যদি বিএনপি সত্যিই এই নতুন রাজনৈতিক রূপকে ধরে রাখতে পারে, তাহলে তারা শুধু তাদের পুরনো ভোটভিত্ত paved নয় — নতুন ভোটার, যুব সমাজ, মধ্য-বিত্ত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও গণতান্ত্রিক-চিন্তাশীল মানুষের মন জিতে নিতে পারবে।

 

---

চ্যালেঞ্জ: রূপান্তর বাস্তব হবে কি?

তবে এই রূপান্তর — অবিলম্বে ও শুধু মন্তব্যে নয় — কার্যকর ও স্থায়ী রাজনৈতিক সংস্কার, দলীয় সংস্কৃতি ও মানবাধিকার-মूल্যবোধে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্জন করতে হবে। কেবলই রূপকথার ভাষা আত্মা নয়।

দলের অভ্যন্তরীণ অনেকেই পুরনো ধারার রাজনীতি, ধর্ম-ভিত্তিক জোট বা দলীয় স্বার্থে কেনাকাটা, ইত্যাদির সঙ্গে অভ্যস্ত। তাদের সঙ্গে নতুন দৃষ্টিভঙ্গার মিল হবে কি?

সাধারণ মানুষের কাছে এটি কতটা বিশ্বাসযোগ্য হবে — একটি প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ধারার প্রতিশ্রুতি, না হবে পুরনো কৌশলের নতুন আবরণ?

এবং যেসব নতুন রাজনৈতিক দল — বিশেষ করে যুবস্বীকৃত — ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে; তারা যদি সফল হয়, তাহলে বিএনপি-র এই রূপান্তর কি পুরনো রাজনৈতিক নামকে পুনরুজ্জীবিত করবে, নাকি নতুন রাজনৈতিক চলার শক্তিকে আরও মজবুত করবে?

 

---

উপসংহার

২০২৫ সালের এই সময়কে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা মেরু-পরিবর্তনের সুযোগ বলা যায়। পুরনো ধর্মনির্ভর বা ঐতিহ্য-ভিত্তিক রাজনীতি থেকে বের হয়ে, যদি বিএনপি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করে — তাহলে এটি একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের শুরু হতে পারে। কিন্তু সেটা হবে কেবল তখন, যখন তারা তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে প্রমাণ করবে, এবং পুরনো রাজনীতির অনুশীলনকে পরিত্যাগ করবে।


---

যদি আপনি চান, আমি সংক্ষিপ্ত আরেক ভার্সন (নিউজলেটার বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য উপযোগী) তৈরি করতে পারি — যা সহজ, আকর্ষণীয় ও পাঠযোগ্য হবে। আপনি কি সেটা চান?



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: