স্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্বায়ত্তশাসিত বিচার বিভাগের ভিত্তি স্থাপন করেছে—প্রধান বিচারপতি
- সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠনের মাধ্যমে বিচার বিভাগে স্বাধীনতার নতুন অধ্যায়
- দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ ভেঙে প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসনের ভিত্তি স্থাপন
- বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের অঙ্গীকার
- জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী বিচার সংস্কারকে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ
- সুপ্রিম কোর্টকে জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান
📰 পূর্ণ সংবাদ
ঢাকা:
স্বাধীনভাবে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠন একটি শক্তিশালী ও স্বায়ত্তশাসিত বিচার বিভাগের ভিত্তি স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ও জবাবদিহিমূলক কাঠামোর দিকে এগিয়ে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস–২০২৫’ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারিক প্রশাসনের ওপর দীর্ঘদিনের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ ভেঙে একটি স্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠনের অধ্যাদেশ পাস করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগ শক্তিশালী, স্বাধীন এবং সাংবিধানিকভাবে স্বায়ত্তশাসিত কাঠামো লাভ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের উন্নয়ন উদার সাংবিধানিকতার আলোকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
ভবিষ্যতে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, সামাজিক প্রত্যাশার পরিবর্তন এবং জটিল আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাংবিধানিক নীতিসমূহ অটুট রেখে উদ্ভাবন ও ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে।
বিচার বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের বিচারকদের প্রতি দায়িত্বশীলতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সমাজে মর্যাদা, কর্মনৈতিকতা ও সততার সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিচার বিভাগকে কেবল আইনের শাসনের প্রতিই দায়বদ্ধ থাকতে হবে—কারণ একটি শক্তিশালী বিচার বিভাগ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকেও সুরক্ষা ও শক্তিশালী করে তোলে।
প্রধান বিচারপতি জুলাই বিপ্লবের পর সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া বিচার বিভাগের সংস্কার কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেন। এর মধ্যে বিচারকদের নিয়োগ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন এবং বিচ্যুতির ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেন তিনি।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিচার বিভাগের অগ্রযাত্রাকে যুক্ত করে তিনি বলেন, জনগণের ন্যায়বিচারের অদম্য আকাঙ্ক্ষা থেকেই একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার জন্ম। জুলাই বিপ্লবের পর কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে জনগণের অবস্থানের ফলে সুপ্রিম কোর্ট আবারও জনআস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
অনিশ্চয়তার সময়েও সুপ্রিম কোর্ট একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেকোনো অস্থিরতার মাঝেও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দৃঢ়তা বজায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি ফারাহ মাহবুবসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ও আইনজীবীরা।
: স্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্বায়ত্তশাসিত বিচার বিভাগের ভিত্তি—প্রধান বিচারপতি
#স্বাধীনসুপ্রিমকোর্ট সচিবালয়, #প্রধানবিচারপতি, #অধিকারপত্র, #বিচারবিভাগসংস্কার, ৳বাংলাদেশসুপ্রিমকোর্টদিবস, #স্বায়ত্তশাসিতবিচারবিভাগ, ৳আইনওআদালত
স্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রধান বিচারপতি অধিকার পত্র বিচার বিভাগ সংস্কার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস স্বায়ত্তশাসিত বিচার বিভাগ আইন ও আদালত

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: