
নবগঠিত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির বলেছেন, চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দেশের সব মেডিক্যাল কলেজে যেন শিক্ষক ও ল্যাবরেটরিসহ অন্য ফ্যাসিলিটিজ পর্যাপ্ত থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে।
অধ্যাপক ইউসুফ ফকির এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, দেশের অনেক মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার পর্যাপ্ত ফ্যাসিলিটিজ নেই। কোথাও শিক্ষকের অভাব, কোথায় গবেষণাগার নেই। যেসব মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক, ল্যাবরেটরি ও নিজস্ব ভবনসহ চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে না, তাদের মেডিক্যাল কলেজ করার অনুমোদন দেওয়া হবে না। যেসব মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে তাদের শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ ও ল্যাব স্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক রাখতে হবে। এ ছাড়া ক্যান্টিন ফ্যাসিটিলিজ বাড়ানোসহ সব ধরনের সুবিধা বাড়াতে হবে। আমরা চাচ্ছি আধুনিক মানসম্মত আগামী দিনের একটি স্বাস্থ্যব্যবস্থা। এজন্য চিকিৎসা শিক্ষার উন্নয়ন দরকার। আমরা মেডিক্যাল এডুকেশনের মান উন্নত করতে কাজ করব।
অধ্যাপক ইউসুফ ফকির বলেন, মেডিক্যাল এডুকেশনের শর্ত না মানার কারণে অনেক মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। কিছু চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি হ্রাসসহ ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দুই ভাগে ভাগ করে দুটি অধিদপ্তর করা হয়। গত ২৪ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতায় ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর’ নামে নতুন অধিদপ্তর গঠনের আদেশ জারি করা হয়। সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এই অধিদপ্তর গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর স্বাস্থ্য শিক্ষা সংক্রান্ত সব প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক, প্রশাসনিক, উন্নয়ন ও গবেষণার বিষয়গুলো দেখভাল করবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: