
ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগ ও অফিসে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের নির্দেশনা মোতাবেক ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়ে কেনা বা পাওয়া যন্ত্রপাতির তথ্য আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দিতে বলা হয়েছে।
অফিস আদেশে জানানো হয়, সরকারি বরাদ্দ অথবা অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত যন্ত্রপাতিগুলো বর্তমানে কোন অবস্থায় আছে, কে বা কারা ব্যবহার করছেন, তা নির্দিষ্ট করে তালিকা তৈরি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তর প্রধানদের এই তথ্য দ্রুত প্রস্তুত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, যন্ত্রপাতি ব্যবহারে স্বচ্ছতা আনা, অনিয়ম রোধ করা এবং অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই কিছু বিভাগ তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “কোনো কোনো দপ্তরে যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলেও তার রক্ষণাবেক্ষণ বা প্রতিস্থাপন নিয়ে কারও দায়িত্ববোধ দেখা যায় না। এই উদ্যোগ সঠিক তথ্য ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসনিক অফিসগুলোতেও বিপুল সংখ্যক প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম রয়েছে। নিয়মিত তদারকি না থাকায় এসব যন্ত্রপাতির অনেকগুলো অকেজো হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
মো. সামিউল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: