
বৈশাখ মানেই একদিকে যেমন ফলের একটি মৌসম ঠিক তেমনি প্রখর রোদেরও একটি ক্লান্তিময় সময়। বৈশাখের শুরু থেকে তাপপ্রবাহ দিন দিন বাড়তে শুরু করে। এই সময়টাতে ডায়রিয়ার প্রকোপটাও বাড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয় তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি। সাথে ৫টি মারাত্মক রোগেরও। তাই এ সময় নিজে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে অবলম্বন করতে পারেন কিছু বিশেষ উপায়।
রোজা থাকার কারণে যেহেতু এ সময় সঠিক সময়ে পানি পান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, তাই বিশেষজ্ঞরা এ সময় বলছেন কিছু বিশেষ পানীয়র কথা।
শরীরে এই সময় প্রচণ্ড ঘাম হওয়ায় ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়, যা শরীরকে অনেকটাই ক্লান্ত করে তোলে। তাই এ সময় ফিট থাকতে আপনি পানীয় হিসেবে বেছে নিতে পারেন কাঁচা আমের জুস, ডাবের পানি ও বেলের শরবত।
কাঁচা আমের জুস শরীরকে অনেকটাই ঠান্ডা রাখে। শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলতে এটি বাধা প্রদান করে। আর ডাবের পানি সব পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। শরীরের পানি ও পুষ্টির চাহিদা একসঙ্গে পূরণে এই পানীয়র জুড়ি নেই।
গরমের একটি অতি প্রয়োজনীয় পানীয় হলো বেলের শরবত। বেল ফাইবার ও পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। পরিপাক ক্রিয়াকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি এই পানীয়টি সুরক্ষিত রাখবে হিট স্ট্রোক থেকে।
পোশাকে অগ্রাধিকার দিন সুতি কাপড়কে। যতটা সম্ভব দুপুরের রোদ থেকে দূরে রাখুন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এ সময় রোদে বের না হওয়া আর তেল-চর্বিযুক্ত বাইরের খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখার অভ্যাস গরমের নানান রোগ থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
এসব পানীয় পান করার অভ্যাসের পাশাপাশি ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে কোল্ড ড্রিংকস আর আইসক্রিমকে। গরমে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে এ সময় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমে যে মারাত্মক ৫টি রোগ হয়, সেগুলো হলো হিট র্যাশ, হিট স্ট্রোক, শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের অভারসাম্য, অ্যাজমা এবং শরীরে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়া বা কমার মতো সমস্যা দেখা দেয়। গরমে রমজান মাস পড়ে যাওয়ায় এর ঝুঁকি বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। তাই এসব রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই শরীরকে এ সময় রাখতে হবে হাইড্রেটেড।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: