ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

রাবির উর্দু বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৬

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৬

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে  স্বেচ্ছাচারিতা, বিধিবহির্ভূত ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই বিভাগের ৫ জন শিক্ষক।

অভিযোগকারী শিক্ষকরা হলেন, অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন, অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক উম্মে কুলসুম আকতার বানু, মো. মোকাররম হোসেন মণ্ডল, মো. সামিউল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এর নিকট দেওয়া অভিযোগপত্রে তাঁরা বলেন, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোনোরকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি বহির্ভূত, অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে আসছেন। যার মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়াতে বিভাগের শিক্ষার কার্যক্রম চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০২০ সালের ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সভাপতির অনুগত এম.এ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আল মারুফুল ইসলাম, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আল মেরাজ  এবং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দীন খানের মাধ্যমে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বায়েজীদ হোসাইন ও জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে আন্দোলনের নামে বিভাগে তালা লাগিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। এতে উর্দু বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

অভিযোগপত্রে তাঁরা আরও উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল ৬ মাস পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে।  অথচ, তিনি এখনও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তির ব্যবস্থা করেননি। ২০২১ সালের ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার ও ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের সকল কোর্সের ক্লাস শেষ হবার পরেও পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ ও পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করছেন না তিনি। তিনি যেসব পরীক্ষা কমিটিতে থাকেন তাতে ধারাবাহিক অসহযোগিতা ও সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তিনি বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন বলেও অভিযোগ তাদের।

তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, তিনি বিভাগের তিন লক্ষাধিক টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করেছেন। বারবার বলার পরেও তিনি উক্ত টাকা ফেরত দেননি। আবর্তক খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে একটি পানির ফিল্টার ক্রয়ের অনুমোদন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে ৩০হাজার টাকা উত্তোলন করলেও এখন পর্যন্ত বিভাগে পানির ফিল্টার স্থাপন করেননি।

এছাড়াও অধিকাংশ সময় তিনি সিরাজী ভবনের সামনের চায়ের দোকানে বসে অফিসিয়াল কার্যক্রম (স্বাক্ষর) পরিচালনা, শিক্ষার্থীকে নিজের অনুগত রাখতে ইনকোর্সে শতভাগ নম্বর প্রদান এবং রুটিন অনুযায়ী ক্লাস না নিয়ে তিনি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্লাস নেওয়ারও অভিযোগ করেন বিভাগের শিক্ষকেরা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। একটা কুচক্রী মহল আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, অভিযোগপত্রটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে উর্দু বিভাগের সভাপতিসহ শিক্ষকগণ উপাচার্য এবং উপ উপাচার্য মহোদয়ের সাথে মিটিংয়ে বসার কথা।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, উপাচার্য স্যারসহ আমরা আজ বিকেলে তাদের সাথে মিটিং করেছি। সেখানে বিভাগের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে তাদেরকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: