
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের বেলায় বাড়ীঘরে দুধর্ষ হামলা করে নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করে ব্যাপক ভাংচুরসহ স্বর্ণালংকার মোবাইল সেট ও মালামাল লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের প্রাণীমন্ডল এলাকায় বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে এই মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী সোহেল বাদী হয়ে মৃত মুনসুর আলী শেখের ছেলে বাবুল শেখ(৫৫)সহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রাণীমন্ডল মৌজার ১৪শতাংশ সম্পত্তি ভুক্তভোগী সোহেল ও তার ভাইয়েরা পৈত্রিক দান ও ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে বাড়ীঘর তুলে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় একই এলাকার বাবুল শেখগং উক্ত জমি জোড় পূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছিল। এতে সোহেল বাদী হয়ে বাবুল শেখ গংয়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে নিষেধাজ্ঞা দেঃ মোকদ্দমা নং-১৫/২৩ দায়ের করেন। মামলাটি আদালতে চলমান থাকাবস্থায় বাবুল শেখসহ একই এলাকার মৃত রমিজ বেপারীর ছেলে ফারুক, মৃত বিশাই মোড়লের ছেলে জমির মোড়ল, শফি মাদবরের ছেলে নুর ইসলাম, বাচ্চু মোড়লের ছেলে আব্দুল্লাহ ও মৃত রবি বেপারীর ছেলে সেলিম বেপারীসহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজন ঘটনার দিন দিবাগত রাতে দেশী অস্ত্রসস্ত্র হাতে নিয়ে ফারুকের নেতৃত্বে বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এতে সোহেলের বোন সোহেদা বেগম, ভাবী মিম্মা আক্তার, আছিয়া খাতুন ও চাচাতো ভাই রমিজ শেখ বাধা দিলে তাদের এলোপাতাড়ি লাঠি লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং পরনের কাপড় টেনে হেচড়ে ছিড়ে ফেলে। এসময় জমির মোড়ল, আব্দুল্লাহ ও সেলিম আহত মিম্মা আক্তার, সোহেদা ও আছিয়ার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল সেট নিয়ে যায় এবং সেলিম ভাবী আছিয়ার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে শ্রীনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ঘটনাস্থল থেকে সেলিম বেপারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ফারুক শেখের কাছে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি পরে আপনাকে জানাচ্ছি। এর পর একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: