
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে শালিসে বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় মন্দির কমিটির সাঃ সম্পাদকসহ ৩জন আহত করা হয়েছেন।গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের কাননীসার এলাকার কালী মন্দিরের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চিকিৎসা করান।
কাননীর কালী মন্দির কমিটির সাঃ সম্পাদক নবরঞ্জন দাসের অভিযোগে জানা যায়, তারা এলাকার হিন্দু মনিঋষি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় একই এলাকার মৃত হাছেন শেখের ছেলে পান্নু ওরফে কামাল, ছেলে ফারদিন, মৃত মজিদের ছেলে আবজাল, মন্টু শেখ, ছেলে শাহাদাৎ, রশিদের ছেলে আশিক ফুকুক্স, নুরুর ছেলে ইরফান, মন্টুর ছেলে রামিমগং দীর্ঘদিন যাবৎ এই সম্প্রদায়ের লোকজনদেরকে অত্যাচারসহ জোড়পূর্বক চাষাবাদ করা তাদের বিভিন্ন ফসলাদি নিয়ে যেত। এতে প্রতিবাদ করলেই দেশ ছাড়া করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল পান্নুগং।
গত সোমবার ফারদিনগং জোড় করে সাঃ সম্পাদকের ক্ষেতের বেশকিছু টাকার আখ তুলে নিয়ে যায়। বাধা দিলে তাকে প্রাণ হুমকি দিয়ে মারধর করতে তেড়ে আসে। এ ঘটনায় ফারদিনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নবরঞ্জন দাস। এই ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে একটি শালিস বৈঠক বসেন এবং শালিসের শেষে পর্যায়ে হঠাৎ পান্নুগং উত্তেজিত হয়ে হামলা চালিয়ে সাঃ সম্পাদকসহ বিমল দাস ও খোকন দাসদের এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। পরে উপস্থিতি লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় গণ্যমান্য মনির মোড়ল জানান, নবরঞ্জন দাস হিন্দু মনিঋষি দাস সম্প্রদায়ের লোক। পান্নু ওরফে কামালগং ক্ষেতের আঁখ জোড় পূর্বক তুলে নেয়া দীর্ঘদিন যাবৎ এই সম্প্রদায়ের মানুষ গুলোর উপর অত্যাচার করে আসছিল। গতকাল শালিসে ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শেষ পর্যায়ে পূনরায় উত্তেজিত পূনরায় আমাদের সামনেইরবাদীসহ তার লোকজনদের মারধর করে আহত করে। পান্নু অনেকদিন সৌদিতে ছিল। সেখান থেকে টাকা মেরে দেশে চলে আসে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলাও ছিল।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবজালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মন্দিরে কোন হামলা করি নাই। আপনারা বিস্তারিত ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জেনে নেন।
তন্তর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে শালিসে বসছিলাম। শালিসের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ পান্নুগং উত্তেজিত হয়ে পূনরায় ঝামেলা বাধায়। পরে আমরা সবাইকে শান্ত করে শালিসটি পরিষদে হবে বলে জানিয়ে দেই।
অভিযোগ তদন্তকারী অফিসার শ্রীনগর থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) জিয়া বলেন, বাদী নবরঞ্জন দাসের ক্ষেত থেকে আখ তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করছি। গতকালকের শালিসের ঝামেলার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। এই ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: