ঢাকা | বুধবার, ৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
মালয়েশিয়া সরকারের সিধান্ত

স্কুল পর্যায়ে পাঠ্যভুক্ত হলো মহানবী (সা.) এর ৪০ হাদিস

odhikar patra | প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:২১

odhikar patra
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:২১

 ইমাম নববী (রহ.) সংকলিত মহানবী (সা.)-এর ৪০ হাদিস গ্রন্থটি স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেছে মালয়েশিয়া সরকার। গত ১৯ আগস্ট মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা প্রসারে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদিস শিক্ষার মডিউলটি চালু করা হয়। প্রাথমিকভাবে সরকার নিয়ন্ত্রিত ৬১টি ধর্মীয় স্কুল (এসএমকেএ) এবং সরকারের সহযোগিতাপ্রাপ্ত ২২৮টি ধর্মীয় স্কুলে (এসএবিকে) তা পড়ানো হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে তা সব স্কুলে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ফাদলিনা সিদিক বলেছেন, ‘নতুন এই মডিউলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ইমাম নববীর নির্বাচিত ৪০ হাদিস সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের সুযোগ পাবে। তা তাদের মূল্যবোধ গঠনে সহায়তা করবে এবং নিজ জীবনে এর মূল শিক্ষা বাস্তবায়ন করবে। মুসলিম শিশুদের মধ্যে ইসলামের উপলব্ধি ও নৈতিকতাবোধ তৈরির ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ’ তিনি আরো বলেন, ‘ইমাম নববীর হাদিসগুলো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের পড়ানো হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়নে কাজ করবে। হাদিস পাঠের উদ্যোগটি নতুন প্রজন্মের মধ্যে উগ্রবাদ ও চরমপন্থা দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে সবার মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে। তা ছাড়া এটি ইসলামের সর্বজনীন মূল্যবোধ এবং মালয়েশিয়ার বহুত্ববাদী সমাজে এর অনুশীলনের একটি বাস্তব চিত্রায়ণ করবে। তিনি বলেন, ‘বইটির একটি হাদিস হলো, ‘আদ দ্বিনু আন নাসিহা। ’ এর অর্থ হলো, ধর্ম হলো কল্যাণ কামনা করা। আমরা চাই, সবার মধ্যে ধর্মের এই অনুভূতি তৈরি হোক। আমরা অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছি। এমন সময় সবার মধ্যে সহানুভূতি ও সৌহার্দবোধ তৈরিতে তা বিশেষ ভূমিকা রাখবে। মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক ওমর সালেহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইবরাহিমের সুপারিশে হাদিস শিক্ষার মডিউলটি তৈরি করা হয়। তার নির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে সারা দিতে হাদিস গ্রন্থ বিতরণ কর্মসূচ হাতে নেওয়া হয়। যেন স্কল স্তরে থাকতেই হাদিসের সঙ্গে মুসলিম শিক্ষার্থীদের পরিচয় ঘটে এবং তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব ও গভীর ধর্মীয় বোঝাপড়া গড়ে ওঠে। তিনি আরো জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাদিসগুলো ব্যাখ্যামূলক সহায়ক গ্রন্থ দেওয়া হবে। শিক্ষকরা চাইলে তা গাইড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। অভিজ্ঞ ধর্মীয় শিক্ষকরা হাদিসের শিক্ষা ও বিষয়বস্তু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। তা ছাড়া এর পাঠ শুধুমাত্র ক্লাসে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে এর শিক্ষা তুলে ধরতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, হাদিস ইনফো কর্নার তৈরি করা, নামাজের পর ও সাপ্তাহিক বৈঠকে হাদিস পাঠ করা এবং আন্তঃ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কার্যক্রমে এর শিক্ষা তুলে ধরা।

সূত্র : মালয় মেইল ডটকম News24bd.tv/desk



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: