
জাহাঙ্গীর আলম: বগুড়ার মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থান।মহাস্থানগড় নিয়ে লোক সমাজে হাজারো কাহীনি প্রচলিত আছে।
মহাস্থানগড় দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো দর্শনার্থী ভির জমায়। মহাস্থানগড় মুলত প্রাচীন বৌদ্ধ ও হিন্দু সভ্যতার ধ্বংসাবেশ।
বগুড়া শহর থেকে ৭ কিঃ মিঃ উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিমে মহাস্থানগড়ের অবস্থান। সমস্থ এলাকাটি একটি সুরক্ষিত দেয়াল দিয়ে ঘেড়া। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বড় নগড় পুন্ড্রনগড় এর ধ্বংসাবেশ।
ব্রাক্ষি রীতিতে লেখা একটি শিলালিপিতে পুন্ড্র নগড় এর উলেস্নখ রয়েছে।এ থেকে ধারণা করা হয়,নগড়টি সম্ভবত মৌর্য বংশীয় শাসকদের প্রতিষ্ঠা এবং বাংলার প্রথম নগরায়নের সুর্নিদিষ্ঠ প্রমান।
নগড় দেয়ালের ভিতরে পূর্ব কোনের সবচেয়ে উচ্চু স্থানে রয়েছে বিখ্যাত আউলিয়া সুলতান মাহীসয়ারের মাজার ও মোগল আমলের একটি মসজিদ। দেয়াল বিশিষ্ট এলাকার বাহিরে বিশাল এলাকা জুড়ে ছরিয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মঠ।
এ গুলোর মধ্যে বৈরাগীর ভিটা,গোবিন্দ ভিটা মন্দির,খোদার পাথর ভিটা,মানব কালির কুন্ডধাপ,পশুরামের প্রসাদ,জিয়ত কুন্ডু,শীলাদেবির ঘাট ও লক্ষিণদরের বাসর ঘড় বিশেষ ভাবে উলেস্নখ যোগ্য।
মহাস্থান গড়ের জাদুঘড়ে প্রাচীন কালের বিভিন্ন নিদর্শনাদি দেখা যায়। মহাস্থান গড়ের সমাজ ও সভ্যতার উথ্থান ,সমৃদ্ধি ও পতনকাল হচ্ছে খ্রিষ্ঠপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে ১৫শ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।
সামপ্রতিক খনন কাজের ফলে এখানে ১৮ টি নির্মান স্থর উম্মোচিত হয়েছে ।
এ ছাড়াও আবিষ্কৃত হয়েছে নানা নিদর্শনাদি মার্বেল পাথরের মূর্তি,মাটির মূর্তি,সহ অনেক কিছু।
দর্শনার্থীরা জানায়,বনভোজন বা বেড়ানোর আনন্দটাই বড় নয় বরং মহাস্থান গড়ের অতীত ঐতিহ্যের নিদর্শন তাদের আনন্দের পাশাপাশি অতীত সমন্ধে অনেক জ্ঞান দেয়।
মহাস্থানগড় জ্ঞানপিপাসু দর্শনার্থীদের ভিরে সর্বদাই মুখরিত থাকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: