
খাদ্য মন্ত্রী এডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়েই নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ ।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এড. শামসুল হক টুকু এম.পি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী শিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুল্লাহ রিপন, রোকনউদ্দিন পাঠান প্রমুখ।
কামরুল ইসলাম আরো বলেন, সহায়ক, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে কোন অবৈধ সরকার এদেশে আর হবে না। বিএনপিসহ সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়েই নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে মামলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলার পর খালেদার দুর্নীতি মামলায় রায় হয়েছে। এতে সরকারের কোন হাত নেই। রায়কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে তার পরিণাম হবে আরো কঠিন।
তিনি বলেন, দুইবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাত করে জেল খাটছেন। এটি রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর। সরকার নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে কোন বাধা সৃষ্টি করছে না। খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি যে সমস্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে এতে সরকার বাধা দিচ্ছে না। এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও কিছু কিছু উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বিএনপি। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি গাজীউল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি গণতন্ত্র, আইনের শাসন, জনগণের ভোট ও ভাতের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শুধু ভাষা আন্দোলনেই নেতৃত্ব দেননি, মুক্তিযুদ্ধেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
আগামীকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ৯০তম জন্মবার্ষিকী।-খবর বাসসের
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: