ঢাকা | সোমবার, ৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

পোর্ট সুদানে আরএসএফ'র আত্মঘাতী ড্রোন হামলা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৫ ২১:৪৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৫ ২১:৪৮

সুদানের পোর্ট সুদান নগরীতে আত্মঘাতী ড্রোন হামলা চালিয়েছে আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। দেশটিতে দুই বছরধরে চলমান গৃহযুদ্ধে সেনা-সমর্থিত সরকারের কেন্দ্রে প্রথম হামলা। রোববার এই হামলার বিষয়টি জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

খবর এএফপি’র।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আবদুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানান, ‘আরএসএফ আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করে ওসমান ডিজনা বিমান ঘাঁটি, একটি গুদাম ও কয়েকটি বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।’

তিনি আরও জানান, এই হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি, তবে ‘সীমিত ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে। শহরের বিমানবন্দর এলাকা থেকে ধোঁয়ার কুন্ডলী উঠতে দেখা গেছে।

গত মার্চে রাজধানী খার্তুমের অধিকাংশ এলাকা হারানোর পর আরএসএফ, সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ড্রোন হামলার পরিধি ও গতি বাড়িয়েছে।

শনিবার পূর্ব সুদানের সীমান্তবর্তী কাসালা নগরে বিরল এক ড্রোন হামলার কথাও জানিয়েছে সেনা-সমর্থিত একটি সূত্র। এই শহরটি আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

যুদ্ধের শুরুতে খার্তুম থেকে রাজধানীর কার্যক্রম পোর্ট সুদানে স্থানান্তর করা হয়। রোববারের হামলা পর্যন্ত শহরটি এতদিন সহিংসতা থেকে মুক্ত ছিল। জাতিসংঘ সংস্থাগুলো তাদের অফিস ও কর্মীদের পোর্ট সুদানে স্থানান্তর করেছে এবং যুদ্ধের ফলে বাস্তচ্যুত লাখ লাখ মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের অঘোষিত জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী ও মোহাম্মদ হামদান ডাগলোর নেতৃত্বাধীন (আরএসএফ) মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। এতে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

এই সংঘাত আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ সুদানকে বিভক্ত করে ফেলেছে।

সেনাবাহিনী দেশের কেন্দ্র, পূর্ব ও উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে, আর আরএসএফ দখলে রেখেছে বিস্তৃৃত দারফুরের পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অংশ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে আরএসএফ ও তাদের মিত্ররা কেনিয়ায় একটি সনদে স্বাক্ষর করে। তারা সেনা-সমর্থিত সরকারের বিপরীতে বিকল্প সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: