
সেনাবাহিনী ও পানি ছিঁটানো বিমানের সহায়তায় আজ সোমবার স্পেন ও পর্তুগালের কয়েক ডজন স্থানে দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছে কয়েক হাজার দমকলকর্মী।
মাদ্রিদ থেকে এএফপি জানায়, দক্ষিণ ইউরোপে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট তাপপ্রবাহ এবং খরায় বনাঞ্চলে সৃষ্ট দাবানলে বিশেষ করে আইবেরিয়ান উপদ্বীপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউরোপিয়ান ফরেস্ট ফায়ার ইনফরমেশন সিস্টেমের (ইএএফএফআইএস) তথ্যানুসারে, স্পেনে এ বছর ৩ লাখ ৪৩ হাজার হেক্টর জমি দাবানলে পুড়ে গেছে। এটি স্পেনে দাবানলে রেকর্ড পরিমাণ পুড়ে যাওয়ার ঘটনা।
তিন বছর আগে একই সময়ে ৩ লাখ ৬ হাজার হেক্টর জমি দাবানলে পুড়েছিল। সেই রেকর্ড এবার ছাড়িয়ে গেছে।
গতকাল রোববার দুজন দমকলকর্মীর প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে একজন স্পেনে এবং অন্যজন পর্তুগালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এতে পর্তুগালে দাবানল সংশ্লিষ্ট মোট মৃতের সংখ্যা ২ এবং স্পেনে ৪ জন হলো।
স্পেনের নাগরিক সুরক্ষা ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা বিভাগের প্রধান ভার্জিনিয়া বারকোনেস জানান, বর্তমানে ২৩টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে, যা দেশের জনগণের জন্য গুরুতর ও সরাসরি হুমকি স্বরূপ।
স্পেনকে অগ্নিনির্বাপণ বিমান সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স, ইতালি, স্লোভাকিয়া ও নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে সুইডেন ও মরক্কো থেকে বিমান সহায়তা পাচ্ছে পর্তুগাল।
পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা বলেন, ‘রোববার একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন অগ্নিনির্বাপণ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো দুই সহকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।’
গত শুক্রবার পূর্বাঞ্চলীয় শহর গুয়ার্ডার সাবেক একজন মেয়র দাবানল নেভানোর চেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
আজ সোমবার পর্তুগালের উত্তরাঞ্চলে এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলে দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্রায় ২ হাজার দমকলকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকই নিয়োজিত রয়েছে আরবানিল এলাকায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে।
এ বছর পুরো পর্তুগালে দাবানলে ২ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমি পুড়ে গেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: