ঢাকা | শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতামূলক সমাধানে আসার জন্য এবি পার্টির আহ্বান

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৫ ২১:৫৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৫ ২১:৫৩

আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) রাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট ও জটিল পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের পদত্যাগ নয় বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতামূলক সমাধানে পৌঁছার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আজ বিকেলে বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরী সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানান দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আগ্রহ প্রকাশকে কেন্দ্র করে জাতির মধ্যে যে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা, অনিশ্চয়তা ও জটিল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে তার প্রেক্ষিতে এই জরুরি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাসেম, লে. কর্ণেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, লে. কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, আমিনুল ইসলাম এফসিএ, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) সাইয়েদ নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) গাজী নাসির এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে দেশে যে পরিস্থিতি ঘুরপাক খাচ্ছিল এবং সরকারের সাথে বিভিন্ন পক্ষের যে দূরত্ব দৃশ্যমান হচ্ছিল তাতে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমরা বলেছিলাম যে, এটার নিরসন না হলে ক্রমশ: জটিলতা ও সংকট দেখা দেবে। গত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ ব্যাপক ধুম্রজাল তৈরি করেছে।’

এসব বিষয়কে অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা হয়নি। নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসায় এবং সরকার অনির্দিষ্ট মেয়াদে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকতে চান এরকম একটি সন্দেহ ও সংশয় কোন কোন রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা বার বার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও বিবাদমান পক্ষগুলো ভুল বোঝাবুঝি দূর করার কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

সেনাবাহিনী প্রধানের সর্বশেষ বক্তব্য প্রসঙ্গে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘উনার বক্তব্যটা আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে জেনেছি। কোন সরকারী তথ্যসূত্র বা সংস্থার অফিসিয়াল বক্তব্য আকারে পাইনি। সেনাপ্রধান এর আগেও ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। বিডিআর বিদ্রোহের বিচার, ইনক্লুসিভ ইলেকশন ও সংস্কার বিষয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন। আমরা যতটুকু জানি সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ ধরনের সরকার, যেখানে সেনাবাহিনী ও সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করছে। সরকারের উচিত সকল পক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে একটা সমাধানের পথ বের করা।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলামের বরাত দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের আগ্রহ সংক্রান্ত যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তা নিয়ে দেশবাসী ভীষণরকম উদ্বিগ্ন। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য আমরা পাইনি। আমরা মনে করি দেশের একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে সকলেরই নানা ভুল ভ্রান্তি ও অস্বস্তিকর আচরণ আজকের জটিল পরিস্থিতির জন্য দায়ী। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ এর কোন সমাধান নয় বরং তা ভয়াবহ অনিশ্চয়তার জন্ম দেবে।’ তিনি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে সকল পক্ষকে সমঝোতামূলক ঐকমত্যে পৌঁছানোর উদাত্ত আহ্বান জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: