
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস’ করা হয়েছে। এ হামলা যুক্তরাষ্ট্রের ‘অভূতপূর্ব সামরিক সাফল্য’।
তিনি বলেন, ‘এই সবকিছুর পরেও আমি স্পষ্ট করে বলছি, এটা আর চলতে পারে না। হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় বিপর্যয়, গত আট দিনে যা দেখেছি তার চেয়েও ভয়াবহ।’
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা বলেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র থেকে আসা পারমাণবিক হুমকির অবসান ঘটানো। এই হামলার মাধ্যমে ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ঠকবাজ ইরান এখন শান্তির পথ বেছে নিক, তা না হলে ভবিষ্যতের হামলা হবে আরো বড়, আরো ভয়াবহ। ৪০ বছর ধরে ইরান ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’ এবং ‘ইসরাইলের মৃত্যু চাই’ এই শ্লোগান দিয়ে আসছে। তারা আমাদের মানুষকে হত্যা করেছে এবং বোমায় হাত-পা উড়িয়ে দিয়েছে। এবার এই অধ্যায়ের ইতি টানতে হবে।’
ট্রাম্প ইসরাইলের সঙ্গে যৌথ অভিযানের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা এমনভাবে একসাথে কাজ করেছি, যা ইতিহাসে বিরল। যৌথভাবে কাজ করে ইসরাইলের জন্য ভয়ঙ্কর হুমকি অনেকটাই দূর করতে পেরেছি।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এখন সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার শান্তি, নাকি ইরানের জন্য আরও ভয়াবহ পরিণতি। মনে রাখবেন, এখনও বহু লক্ষ্যবস্তু বাকি রয়েছে। আজকের অভিযান ছিল সবচেয়ে কঠিন ও প্রাণঘাতী। কিন্তু যদি শান্তি না আসে, তাহলে বাকি লক্ষ্যবস্তুগুলো আরো নিখুঁতভাবে, দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।’
‘বিশ্বে আর কোনো সেনাবাহিনী নেই, যারা আজকের মতো অভিযান চালাতে পারত। এমন কিছু ইতিহাসে আর কেউ করতে পারেনি’ বলে বক্তব্য শেষ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: