
ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ইবি) আইন বিভাগে ‘ইন্ট্রোডাকশন টু সোসিও-লিগাল এমপাওয়ারমেন্ট অফ উইমেন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক পিএইচডি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সেমিনার কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম। আলোচক হিসেবে ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম খান। বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত জাহান। গবেষণাটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেহেনা পারভীন।
উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে নারীদের সামাজিক অবস্থা অতটা ভালো নয়। এখানে নারীদের জীবন নানা জটিলতায় ভরা। বিভিন্ন পরিস্থিতি ও বহুপাক্ষিক চাপ অতিক্রম করে পরিবার এবং সমাজে অবস্থান ধরে রাখার জন্য তারা প্রতি মুহূর্তে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। সমাজের যেকোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে পুরুষ ও নারীর সমান অংশগ্রহণ এখানে সহজ নয়।
বর্তমানে নারীরা প্রশাসনিক ক্ষেত্র, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা ক্ষেত্র এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করলেও তা তাদের জন্য নিরাপদ হয়ে উঠতে পারেনি। তারা যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করতে পারেনি। তারা প্রায়শই তাদের পরিবার ও সমাজে অবহেলিত এবং নির্যাতিত হয়। এটি অবমূল্যায়ন এবং এই অবমূল্যায়ন নারীর অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে।
গবেষক শিক্ষার্থী রিফাত জাহান বলেন, ‘জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই নারীরা সমাজের দ্বারা নির্যাতিত এবং অবহেলিত। এই নিষ্ঠুর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। বলা হয়ে থাকে যে, “দারিদ্র্যের বিপরীত হলো ন্যায়বিচার লাভের সুযোগ।” আইনের আওতায় সুরক্ষা না থাকলে, নারীরা তাদের জীবন উন্নত করার পূর্ণ সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত হয়।’
মো. সামিউল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: