-2018-03-29-19-11-18.jpeg)
কেনিয়ার কাউলে কাউন্টি এলাকায় বসবাস করা রামাদান ও জেনেট ওয়াম্বুই হচ্ছেন এমন এক দম্পতি
ওয়াম্বুই বলেন, ‘আমি দেখেছি অন্য নারীরা এই পেশায় প্রবেশের মাধ্যমে তাদের জীবনে কী পরিবর্তন এনেছে। অথচ আমি শুধু পরিবারের টুকটাক কাজ করতাম। রামাদানের স্বল্প আয়ের উপর আমাকে নির্ভরশীল থাকতে হতো।’
‘আমার স্বামীর স্বল্প আয়ের উপর নির্ভর করে আমাদের জীবন খুব কষ্টে চলত। যখন ও আমাকে এই কাজের প্রস্তাব দিলো, আমার আর কোন পথ ছিল না। আমি ওর প্রস্তাবে এই কাজ করতে রাজি হয়ে যাই। আমার পরিবার এখন তিন বেলা খেতে পারে। আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারি।’
বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মহাদেশ আফ্রিকা। নিত্য দিনের সঙ্গী দারিদ্র্য এবার কেড়ে নিচ্ছে আফ্রিকানদের নিজের ঘরের সঙ্গীকে। কেনিয়ায় দারিদ্র্যের কারণে স্বামীরা তার স্ত্রীকে ভাড়া দিচ্ছে অন্যের যৌনসঙ্গী হিসেবে।
এই দম্পতি বিশ বছরের সংসার। তাদের ঘরে আছে তিন সন্তান। অথচ দারিদ্র্য তাদের দু’জনকে বাধ্য করেছে এই অন্ধকার রাজ্য প্রবেশ করতে।
রামাদান কাজ করেন পুরুষ যৌনকর্মী হিসাবে। স্ত্রী জেনেট ওয়াম্বুইর(৩৮) সঙ্গে এক সপ্তাহ পরপর দেখা হয়। তারা কয়েকদিনের জন্য বাড়ি থেকে এই কাজে বেরিয়ে পড়েন।
জেনেট ওয়াম্বুই দুই রাত আগেই দশদিন বাইরে কাটিয়ে ঘরে ফিরেছে। এই দশদিন কেটেছে তার একজন জার্মান দর্শনার্থীর সঙ্গে একটি বিলাসবহুল কটেজে।
তাদের এই অন্ধকার জগতে প্রবেশের কথা বলতে গিয়ে রামাদান বলেন, দিনটি ছিল অন্যদিনের মতো। ২০০৬ সালে দিয়ানি সমুদ্রে সৈকতে (মোমবাসা থেকে ৩০ কি.মি দক্ষিণ) পর্যটকদের কাছে কাপড় বিক্রি করার সময় পরিচয় হয় একজন জার্মান পর্যটকের সঙ্গে। ওই জার্মান পর্যটক প্রথম রামাদানকে নারী সঙ্গীর কথা বলেন। পর্যটক বলেন ভ্রমণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি একজন নারী সঙ্গী চান।
সেই সন্ধ্যায় রামাদান ঘরে ফিরে যান এবং স্ত্রী ওয়াম্বুইকে প্রথমে সিস্টার হিসাবে কাজ করার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিছুদিন যাওয়ার পর এই পথে প্রবেশ করতে রাজি হন ওয়াম্বুই। রামাদানের পাশে বসেই মাথায় পাগড়ি বাঁধতে বাঁধতে কথাগুলো বলছিলেন স্ত্রী ওয়াম্বুই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: