ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

আজ শিল্পী আজম খানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৫ জুন ২০১৮ ২৩:২২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৫ জুন ২০১৮ ২৩:২২

 

 আজ কিংবদন্তি শিল্পী ও মুুক্তিযোদ্ধা আজম খানের সপ্তম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০১১ সালের ৫ জুন এই পপ সম্রাট শিল্পী ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
পপ সম্রাট আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ কয়েকটি টিভিতে তার স্মরণে শিল্পীর গান পরিবেশন ও পারিবারিকভাবে মিলাদ, দোয়া মাহফিল এবং কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
শিল্পী আজম খান ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিম পুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আফতাবুদ্দিন খান ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। মা জোবেদা খান ছিলেন সংগীত শিল্পী। আজম খানের প্রকৃত নাম হচ্ছে, মাহবুবুল হক খান। ছোট বেলা থেকেই তিনি গান করেন। গান গাওয়ার পাশপাশি শিল্পী আজম নিয়মিত ক্রিকট খেলতেন। ১৯৭২ সালে আজম খান প্রতিষ্ঠা করেন গানের দল ‘উচ্চারণ’। এই দলের মধ্য দিয়ে তিনি সঙ্গীত জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
আজম খানের জনপ্রিয় গানগুলো হচ্ছে, হাইকোর্টের মাজারে, আসি আসি বলে তুমি আর এলে না, জীবনে কিচ্ছু পাব না রে, আমি যারে চাই রে, অভিমানী, রেল লাইনের বস্তিতে, হায় আল্লাহ হায় আল্লাহ রে, আলাল ও দুলাল, ওরে সালেকা ওরে মালেকা, পুড়ে যাচ্ছিসহ অসংখ্য গান। তার প্রকাশিত তার এলবামগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ ১ ও ২, দিদিমা, পুড়ে যাচ্ছি, সালেকা মালেকা।
শিল্পী আজম খানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শিল্পী ফকির আলমগীর  বলেন, আমাদের সংগীত জগতে আজম খান একজন মেধাবী শিল্পী। বিস্ময়কর ও সাড়া জাগানো অসংখ্য গান গেয়েছেন। বিরল প্রতিভাধর এই শিল্পী বাংলা গানে নতুন এক ধারার প্রবক্তা। তার গানগুলো আমাদের সঙ্গীত ভুবনে সম্পদ হিসেবে চিরকাল থাকবে। তার মৃত্যুতে পপ গানে যে শূন্যতা এসেছে তার পূরণ হবার নয়। সে আমার ছোটবেলার বন্ধু। এক সঙ্গে গান করেছি এবং বহু সময় কাটিয়েছি।
শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে  বলেন, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালে আমি আজম খানের সঙ্গে প্রথম গান গাই। ঢাকা রেকর্ডিং স্টুডিওতে রেকর্ড করা হয় গানগুলো। আজম গেয়েছিল, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা ও হাইকোর্টের মাজারে’। আমি গেয়েছিলাম- চাঁদ জাগে তারা জাগে ও দুনিয়াটা কত যে মজার’ গান দুটি। এক সাথে এই চারটি গান গাই আমরা। পরে এই গানগুলো প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়। তিনি বলেন, তার মৃত্যুর পর সাতটি বছর চলে গেল। তার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য আমরা কিছুই তো করলাম না। কিন্তু তার গান তাকে আমদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: