
বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩/১১ কেভি, ১০/১৪ এমভিএ এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি, ১০/১৪ এমভিএ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র দুটি গোসাইরহাটের ইদিলপুর ইউনিয়নের ধীপুর এলাকায় এক যোগে উদ্বোধনকালে তিনি এই আশা ব্যক্ত করেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। পশ্চিম-দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্ব -দক্ষিণাঞ্চলে যতদ্রুত সম্ভব প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে কাজ চলমান রয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি শেষ হলে দক্ষিণাঞ্চলে অনেক শিল্পায়ন হবে। তাই এসব এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে আগামী দশ বছরে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে।
এরপর মন্ত্রী গোসাইরহাট বাজার সংলগ্ন হেলিপ্যাড মাঠ প্রাঙ্গণে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান সিকদার প্রমূখ।
এ ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সুত্র জানায়, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র দুটির নির্মাণ ব্যয় ১৬ কোটি, লাইন নির্মাণ ব্যয় ১৮২ কোটি টাকা। দুটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র গড়তে মোট ব্যয় হয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা, যেখান থেকে দুই উপজেলার ৫১ হাজার ৭১৫ পরিবার বিদ্যুতের সংযোগ পাবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: