
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জে এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক কর্তৃক এক মাঠ কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক মেলামেশা: অতঃপর অন্তঃসত্তা বিয়ের দাবীতে বিভিন্ন মহলে ধর্না।
গত ১৭ অক্টোবর সাংবাদিকদের নিকট এনজিও কর্মী শাহানাজ জানান, বুড়িগঞ্জ ইউপির ছাতড়া গ্রামের মোসলিম উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রহিম ওরফে নাজেম ‘সৃষ্টি সমাজ উন্নয়ন শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাহী পরিচালক কর্তৃক তার সংস্থার মাঠকর্মী পার্শ্ববর্তী মাঝিহট্ট ইউপির গামড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে শাহানাজ আক্তার (২৪) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক মেলামেশা করতে থাকে। তাদের মেলামেশার এক পর্যায়ে শাহানাজ আক্তার ৩ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে।
গত ১৪ অক্টোবর শাহানাজ তার অন্তঃসত্তা হওয়ার কথা আব্দুর রহিমকে জানায় এবং বিয়ের চাপ প্রয়োগ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অব্দুর রহিম শাহানাজকে ওইদিন সু-কৌশলে তার বন্ধুর বাড়ী জয়পুরহাটে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে। এসময় শাহানাজ উক্ত স্থান থেকে কৌশলে নিজবাড়ীতে পালিয়ে আসে। এর পরদিন ১৫ অক্টোবর শাহানাজ সমিতির অফিসে গিয়ে আবারও আব্দুর রহিমকে বিয়ের চাপ প্রয়োগ করলে, নারী পিপাসু আব্দুর রহিম বিয়ে না করে বিভিন্ন তালবাহনা করে এবং বিয়ে না করার জন্য বিভিন্ন লোকদ্বারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
উক্ত বিষয়টি শাহানাজ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বলা বলি করতে থাকে। এ ব্যাপারে ‘সৃষ্টি সমাজ উন্নয়ন শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অফিসটি তালাবদ্ধ। মোবাইল ফোনে আব্দুর রহিমের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম আলম জানান, বিষয়টি তিনি মেয়ের কাছে থেকে অভিযোগ আকারে শুনেছেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যেকর সৃষ্টি হয়েছে। এরুপ নারী পিপাসু এনজিও পরিচালকের কুকর্মের সুষ্ঠ বিচারের দাবী করেন সচেতন মহল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: