
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্টের মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য সাইদুর রহমানের খুঁটির জোর কোথায়? আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রতারণায় বহালতবিয়াতে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাঝিহট্ট ইউপির মাসিমপুর চালুঞ্জা মল্লিক পাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র সাইদুর রহমান (৪৮) কর্তৃক একই ইউপির ভারাহার শেখপাড়া গ্রামের সামাদ শেখের পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৩৫) কে বিগত ১৭ জুন, ২০১৮ ইং তারিখে (প্রায় ৫ মাস পূর্বে) ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকায় চুক্তি করে সাইদুর রহমান।
মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকুরি ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে চুক্তিকৃত টাকা নগদে গ্রহন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজুলকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেয়। মালয়েশিয়া গমনরত সিরাজুলের স্ত্রী মিলন আক্তার গত ৪ অক্টোবর সাংবাদিকদের জানান, দালাল সাইদুর রহমান তার প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বৈধ ভিসা না দিয়ে তার স্বামীকে অবৈধ ভাবে বিদেশ পাঠিয়েছে।
তিনি আরোও জানান, স্বামী সিরাজুল বর্তমানে মালয়েশিয়ার দালাল চক্রের জালে আটকা আছে, এসব তথ্য সিরাজুল মোবাইল ফোনে জানিয়েছে। অপরদিকে দালাল সাইদুর কর্তৃক পাশ্ববর্তী পিরব ইউপির কুমলিহার গ্রামের আত্তাব আলীর পুত্র রনি আহম্মেদ (২০)কে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে সিরাজুল ও রনিকে অবৈধ ভাবে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেয়।
রনির পিতা আত্তাব জানান, মানবপাচারকারী সাইদুর রহমান কর্তৃক তার পুত্র রনিকে বৈধ ভিসা না দিয়ে অবৈধ ভাবে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছে। তিনি আরও জানান, তার পুত্র রনি ফোনে জানিয়েছে সে মালয়েশিয়া দালাল চক্রের হাতে আটক রয়েছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জায়গা জমি বিক্রি করে মানবপাচারকরীকে টাকা দিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ ব্যাপারে ২৫ অক্টোবর স্থানীয় ইউপি সদস্য মজনু রহমান খান জানান, সাইদুর রহমান বিদেশে লোকজন পাঠায় তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে মানবপাচারকারী সাইদুর রহমানের সঙ্গে কয়েকবার ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এহেন আদম ব্যাপারীদের খপ্পরে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত হচ্ছেন এবং প্রাণ হারাচ্ছেন।
এসব আদম ব্যাপারীদের ব্যাপারে সাধারণরা সচেতন হলে এবং প্রশাসনের নজরদারী সঠিক থাকলে সমস্যা গুলো নিরসন করে প্রতারণার এসব চক্র নির্মূল করা সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: