
ক্যাথলিক প্রধান দেশ আয়ারল্যান্ড গর্ভপাতকে আইনি স্বীকৃতি দিতে চলেছে। বৃহস্পতিবার আইরিশ পার্লামেন্ট গর্ভপাতকে বৈধতা দিয়ে আইন পাস করেছে। এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিন্স এটির অনুমোদন দিলে ওই আইন কার্যকর হবে। খবর আনন্দবাজারের।
চলতি বছরের মে মাসের দেশের গর্ভপাত আইনের (সংবিধানের অষ্টম সংশোধন) বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের মানুষ। এরই প্রেক্ষিতে দেশটিতে গণভোটের আয়োজন করা হয়। ওই ভোটাভুটিতে এই আইন বাতিলের পক্ষে ৬৬.৪ ভাগ ভোট পড়েছিল।
নতুন এই আইন কার্যকর হলে গর্ভাবস্থার ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করাতে পারবেন নারীরা। গর্ভস্থ শিশুর কারণে মায়ের স্বাস্থ্যহানির বা প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকলেও গর্ভপাত করানো যাবে। গর্ভস্থ ভ্রূণে যদি কোনও অস্বাভাবিকতা থাকে বা জন্মের আগে বা ২৮ দিনের মধ্যে শিশুটির মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হয় তা হলেও গর্ভপাত করানো যেতে পারে।
১৯৮০ সাল থেকে গর্ভপাত করাতে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার নারীকে প্রতিবেশী দেশ ব্রিটেনে ছুটে যেতে হয়েছে। দেশে গর্ভপাতের অনুমতি না পাওয়ায় অনেক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এমনই এক ঘটনায় ২০১২ সালে ৩১ বছর বয়সী ভারতীয় দন্ত চিকিৎসক সবিতা হলপ্পানাবারের মৃত্যু হয়েছিল।
সময়মতো গর্ভপাত করানোর অনুমতি না পাওয়ায় রক্তে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার। আয়ারল্যান্ডের মানুষের কাছে গর্ভপাত আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন এই ভারতীয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: