ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

গ্রাম হবে শহর, কর্মসংস্থান আরও ১ কোটি ২৮ লাখ

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৫২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৫২

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে গ্রাম হবে শহর। আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে এই প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

নতুন কর্মস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলা থেকে গড়ে এক হাজার যুব বা যুব মহিলাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করারও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইশতেহার ঘোষণা করেন। ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য অংশগুলো তিনি তুলে ধরেন।

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়, আগামী পাঁচ বছরে জিডিপির ১০ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় হবে ৫ হাজার ৪৭৯ মার্কিন ডলারের বেশি। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার নেমে যাবে শূন্যের কোঠায়।

অবকাঠামো উন্নয়নে বৃহৎ প্রকল্প (মেগা প্রজেক্ট): দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০টি মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আমার গ্রাম, আমার শহর: আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হয়ে প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া হবে।

আর ওই পাঁচ বছর দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। পাকা সড়কের মাধ্যমে সব গ্রামকে জেলা, উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। ছেলেমেয়েদের উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি করা হবে। সুপেয় পানি এবং উন্নত মানের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সুস্থ বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য জেলা, উপজেলায় কলকারখানা গড়ে তোলা হবে। ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি সারা দেশে পৌঁছে যাবে গ্রামপর্যায় পর্যন্ত।

তরুণ ও যুবসমাজ: তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধানতম শক্তি হচ্ছে যুবশক্তি। দেশের এই যুবগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল ও উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্য অর্জনে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রসারিত করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে স্বল্প, মধ্যম ও উচ্চশিক্ষিত তরুণদের জন্য তথ্যসংবলিত একটি ইন্টিগ্রেটেড ডেটাবেইস তৈরি করা হবে। তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার ও আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে ও সহজ শর্তে জনপ্রতি দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা ইতিমধ্যে প্রদান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সুবিধা আরও বিস্তৃত করা হবে। তরুণদের সুস্থ বিনোদনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি গড়ে যুব বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিটি জেলায় একটি করে যুব স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে পাঁচ বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ কর্মসৃজনের পরিকল্পনা করেছি। প্রতি উপজেলা থেকে গড়ে এক হাজার যুব বা যুব মহিলাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: