
রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার সকল কর্মকাণ্ড সফলতার সহিত পালন করে নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সাধিনতা বিরোধী কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র একের পর এক সফলতার সহিত ব্যার্থ করে ক্যালন্ত নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য, নগর ও ওয়ার্ড সব নেতা -কর্মা ভাই ভাই আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নাই এ স্লোলগান কে সামনে রেখে। নিজেদের মন চাঙ্গা ফুরে করতে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার আদম্য ইচ্ছা থেকে, ঢাকাশহরের মুকুটহীন সম্রাট তার কর্মাদের নিয়ে বেরিয়ে পরে নদীর নির্মল জলে নিজেদের গা ভাষাতে নৌবিহারে।
অভিনব এই নৌবিহারে ব্যতিক্রমী একটি দিন কাটালো ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। ছিল না কোন সিনিয়র-জুনিয়রের ‘প্রটোকল’। কে বড় নেতা, কে কর্মী সে ভেদা-ভেদও ছিল না। গল্প, আড্ডা, গান, র্যাফেল ড্র, কুস্তি কি না ছিল ওই আয়োজনে।
সবকিছু ছিল সংগঠনের মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড নেতাদের উজ্জীবিত করার লক্ষে।
এর আয়োজক ‘যুব বন্ধু' খ্যাত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তার উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মুক্ত আকাশে স্বস্তির নিশ্বাস নিতে নদীতে কাটালেন দুই সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক সুদৃড় নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে এবং নতুন উদ্যোমে উজ্জীবিত করতে মঙ্গলবার নৌ ভ্রমনের আয়োজন করা হয়। ঢাকার সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের একটি চড় পর্যন্ত জায়গা নিধারণ করা হয়। পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল দশটায় লঞ্চ ছাড়া হয়। সকালে লঞ্চঘাটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাট যখন পৌঁছান তখন শত শত ওয়ার্ড ও থানা নেতারা ফুলের তোরা দিয়ে টাকে বরণ করে নেয়।
এরপর সম্রাট উপস্থিত নেতাদের নিজে ফুল দিয়ে একে একে বরণ করে নেন এবং যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, আজকে আমরা সবাই এক।
কেউ নেতা, কেউ কর্মী নয়। আমরা সবাই ভাই ভাই। দিনটাকে উপভোগ করবো। যে যার মতো আনন্দ করবেন, উল্লাস করবেন। এরপর শুরু হয়, আনন্দ উৎসব। কোন নামী-দামী শিল্পী নয়, যুবলীগের নেতাকর্মীরাই সঙ্গীত পরিবেশ করেন।
উৎসবের ভিন্নমাত্রা যোগ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের মুখে ‘এই নদীতে সাঁতার কেটে বড় হইছি আমি, এই নদীতে আমার মায়ের’ ‘আজ কেন মন উদাসী হয়ে দুর অজানায় চায় হারাতে, শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ে হয়ে আকাশে’সহ চারটি গান। এসময় নেতাকর্মীরা হাততালিসহ উল্লাসে ফেটে পড়েন। পুরো ভ্রমনকালে মহানগর ও থানা-ওয়ার্ড নেতারা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আনন্দ ভ্রমনে অংশ নেয়া ওয়ার্ড পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেছেন, গতকালের দিনটি সত্যিই আমাদের জন্য ব্যতিক্রমী ও চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ ‘যুব বন্ধু ’ খ্যাত মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও যুবলীগের শ্রেষ্ঠ সংগঠক ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ভাই নেতা ও কর্মীর মধ্যে যে দুরুত্ব থাকে তা রাখেননি। অবশ্য তিনি কখনোই তা করেন না। আজকে কে কর্মী, কে নেতা তা বোঝা মুশকিল ছিল। সবাই মিলে অন্যরকম আড্ডা দিলাম।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: