ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
দরিদ্র দানা মাঝী এখন কোটিপতি

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয় বস্তুনিষ্ঠ হলে পরিবর্তন নিশ্চিত

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০১৯ ১৯:৫৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০১৯ ১৯:৫৬

২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট মারা গিয়েছিলেন দানা মাঝির স্ত্রী। জানা যাচ্ছে, সেই কপর্দকহীন মানুষটি এক বছরের মধ্যেই ধনী হয়ে গিয়েছেন। আজ তার ব্যাংকে জমা অর্থের পরিমাণ ৩৭ লাখ টাকা। তিন মেয়েই ভুবনেশ্বরের স্কুলে ভর্তি হয়েছে।

সেই দানা মাঝিকে নিশ্চয় মনে আছে আপনার। স্ত্রীর লাশ কাঁধে নিয়ে হাসপাতাল থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছিলেন। বেশিদিনের কথা নয়। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে গোটা ভারতে সাড়া ফেলেছিল হতভাগ্য এক স্বামীর মর্মান্তিক ট্রাজেডি।

ওড়িশার কালাহান্ডি জেলার বাসিন্দা দরিদ্র দানা মাঝি স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন সে সময়। দুর্ভাগ্যের সেখানেই শেষ নয়। মৃত স্ত্রীর দেহ সৎকারের জন্য নিজের গ্রামে নিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় ছিল না দরিদ্র দানার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কাকুতি-মিনতি করেও কোনো গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি।

অগত্যা উপায়ান্তর না দেখে স্ত্রীর দেহ একটা মাদুরে মুড়ে কাঁধে নিয়ে তিনি রওনা দেন গ্রামের উদ্দেশে। তার সেই পথ চলার ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। পেছনে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটতে থাকে তার কিশোরী কন্যা। তবে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামের পথ পুরোটা হেঁটে যেতে হয়নি তাকে। ১০ কিলোমিটার পথ পেরুনোর পরই স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে যায় জেলা প্রশাসন। শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে তারা।

একজন মানুষের এই চরম সংগ্রামের কাহিনি শুনে বহু মানুষের হৃদয়ই গলেছিল। তার পর যা হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ভুলেই গেছে তাঁকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্রে জানা গেল, এখন কেমন আছেন তিনি

আসলে নিদারুণ ট্রাজেডির পরে বহু মানুষ ও সংস্থা এগিয়ে এসেছে তাকে সাহায্য করতে। বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রী একাই ৯ লাখ টাকার চেক দেন তাকে। পান আরো সাহায্য। ওড়িশা সরকার তাকে ইন্দিরা নিবাস যোজনার অধীনে একটি বাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। মেয়েদের শিক্ষার সকল দায়িত্ব নেয় কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সেস। মাস দুই হলো নতুন করে বিয়েও করেছেন দানা মাঝি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: