ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

কাটোরি চাট

Akbar | প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০১৯ ২০:০৯

Akbar
প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০১৯ ২০:০৯

ডেস্ক: আজকে আপনাদের বলব, ঈদের দিন টেবিলে রাখার জন্য বা খাওয়ার জন্য খুবই মজাদার একটি খাবার কাটোরি চাট এর রেসিপি।
অনেকেই ঈদের দিন খাবারের জন্য সাধারণত ফুসকা চটপটি বানিয়ে টেবিলে সাজিয়ে রাখেন। কিন্তু আপনি যদি ফুসকার চটপটির পাশাপাশি কাটোরি চাট খাবারটিও বানান এবং পরিবেশন করেন, তবে বুঝবেন কতো মজা আর সুস্বাদু!

এবার দেখে নিন কিভাবে বানাবেন কাটোরি চাট-

উপকরণ:

> ১ কাপ ময়দা

> তেল

> টমেটো কুচি

> বাধা কপি কুচি

> পিয়াজ কুচি

> মরিচ কুচি

> তেতুল গোলা পানি

> পুদিনা পাতা কুচি

> ধনে পাতা কুচি

> বিট লবন

> শসা কুচি

> চিনি

তৈরিকরণ:

এর জন্য প্রথমে এক কাপ ময়দা নিবেন। এর মধ্যে স্বাদ মত লবণ নিবেন। এর সঙ্গে একটু তেল দিবেন। তেল কম দিলেও হবে। এবার হাত দিয়ে ভালো ভাবে ময়দা মাখাবেন। যাতে তেলের সাথে ময়দা মিশে যায়। এর সঙ্গে অল্প অল্প পানি মিশিয়ে আপনি রুটির খামির যেভাবে বানান, সে রকম বানিয়ে নিবেন। খামিরটা ৫–৭ মিনিট রেখে দিবেন। যাতে ভিতরের পানিটা শুকিয়ে যায়।

এবার খামির থেকে অল্প আটা নিয়ে খুবই চিকন করে বেলবেন। যতটুকু সম্ভব পাতলা করে রুটির মত বেলবেন। রুটির মধ্যে কাটা চামচ দিয়ে কতগুলো ফুটো করে দিবেন। যাতে ভাজার সময় এটা বোল্ড হয়ে না আসে। এবার গোলাকৃতির কিছু দিয়ে আপনি রুটিটা গোল করে কাটবেন। গোল রুটিটা আপনি একটা গ্লাসের নিচে লাগিয়ে চার পাশ থেকে টিপে টিপে ভাজ করে নিবেন। যাতে এটি ঝুড়ির মত হয়ে যায়।

এবার এটিই আপনি ভাজবেন। তবে যে গ্লাসের নিচে আপনি রুটি লাগাবেন। সে গ্লাসের নিচে অবশ্যই তেল লাগিয়ে নিবেন। আপনি গ্লাসসহ যদি তেলের মধ্যে রুটি দেন, তবে দেখবেন একটু পরই রুটি খুলে গ্লাস থেকে আলাদা হয়ে যাবে। আর আপনার রুটি ঝুড়ির আকৃতির হবে। এমন করে আপনি সবগুলো ঝুড়ির মত করে ভাজবেন। চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখবেন। বাদামি রং হলে ঝুড়ি গুলো তেল থেকে তুলে নিবেন।

এবার কতগুলো সিদ্ধ করা ছোলা নিবেন।এর সঙ্গে অনেক গুলো সবজি দিবেন। একটু টমেটো কুচি, বাধা কপি কুচি, শশা কুচি, পিয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি, মরিচের কুচি এবং এর সঙ্গে আরো দিবেন তেতুল গোলানো পানি। সবই স্বাদ মত দিবেন। পুদিনা পাতা, ধনে পাতার পেস্ট ও দিয়ে দিবেন। স্বাদ মত লবণ দিবেন। আর দিবেন চাট মসলা।

এবার সবগুলো উপাদান আপনি মাখিয়ে নিবেন। মাখানো হলে আপনি ঝুড়ির মতো যেগুলো বানালেন তার মধ্যে ভরে নিবেন। ইচ্ছা করলে আপনি বানানো ঝুড়ির মধ্যে চটপটি ফুসকার ফিলিং ও দিতে পারেন। এটি আসলে যার যার ইচ্ছা মত। সবগুলোর মধ্যে পুর দেওয়া হলে সবগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে রাখবেন।

এবার আপনি এগুলোর অপর একটি দই এর শস দিয়ে দিবেন। এই দই এর শসটি কিভাবে বানাবেন তা বলে দিচ্ছি –

আপনি কিছু দই নিবেন। দই এর মধ্যে আপনি একটু চিনি দিয়ে দিবেন। এর সঙ্গে আপনি একটু বিট লবনও দিয়ে দিবেন। এর পরিমান হবে স্বাদ মতো, যার যার রুচি অনুযায়ী। এবার আপনি ভালো ভাবে দইটা ফেটে নিবেন। যাতে লবণ ও চিনি দই এর সাথে মিশে যায়। এ ভাবে আপনি দই এর শস তৈরি করে নিবেন। দই এর শস তৈরি হলে একটু একটু করে শস সবগুলো ঝুড়ির পুরের ওপর দিয়ে দিবেন।

সাজানোর জন্য আপনি শস এর ওপর একটি একটি করে ধনিয়া পাতা দিয়ে সাজিয়ে নিবেন। রঙিন করার জন্য আপনি শস এর ওপর কিছু গাজর ও দিতে পারেন। আর ২–১ টি মরিচ এর ওপর দিয়ে দিবেন। এতে আপনার খাবারের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।

এটি খুবই মজাদার খাবার। ঈদের দিন আপনি এ খাবারটি ফুসকার পরিবর্তে বা সাথে বানিয়ে টেবিলে সাজিয়ে রাখতে পারেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: