ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি

সেতুকে বিয়ে করার কথা দিয়ে আঙুল কেটে সিঁদুর পরিয়ে দেয় সজল

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:২৫

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:২৫

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মেধাবী ছাত্রী সেতু মন্ডল (১৫) এর অপহরন,ধর্ষন ও আত্মহত্যার প্ররয়োচনা কারী মূল আসামী হযরত আলী ওরফে সজল (২৭)কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ। গত শনিবার ভোরে উপজেলার কুচিয়ামোড়া থেকে এস আই হাসান আক্তার তাকে গ্রেফতার করেন। শনিবার রাতেই তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। সজল বরিশালের মেহেদীগঞ্জ উপজেরার উনানিয়া গ্রামের আঃ মজিদ সরদারের ছেলে। হযরত আলী ওরফে সজল বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় সেতু মন্ডলের অপহরন,ধর্ষন ও আত্মহত্যার প্রয়োচনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনার দিন ১০ এপ্রিল সেতু মন্ডল স্কুলে যাওয়ার আগে হযরত আলীর সাথে কয়েক বার ফোনে কথা হয়। পরে গোয়ালখালী এলাকা থেকে তুলে নিয়ে শাখারী বাজার এলাকায় যায় । পরে একটি মন্দিরে গিয়ে সজলের ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল কেটে সেতুর কপালে শিদুর পরিয়ে দেয় এবং তাকে বিয়ে করার কথা দেয়। এ ছাড়া তাকে অনেক রকম প্রতিশ্রুতিও দেয়। পরে লঞ্চের কেবিন নিয়ে সজলের গ্রামের বাড়ির দিকে যায়। লঞ্চের সেই রাতে সেতুকে কয়েক দফা ধর্ষন করে এবং বরিশাল পৌছানোর পর আবার পুনরায় ভোর রাতে ঢাকা চলে আসে। পরের দিন ১১ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ক্যাম্পের কাছাকাছি ফেলে পালিয়ে যায় সজল। গোলামবাজার পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সেতুকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে খবর দিলে সেখান থেকে সেতুকে নিয়ে আসেন আসেন তার পরিবার। ১৭ এপ্রিল গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যার করার সময় স্বজনরা দেখে তাকে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যায়। তিনি আরো বলেন, সেতুর মা প্রধান আসামী হিসেবে সোহেলের নাম বলেছিল কারন তাকেই ভেবেছিল তার নাম সজল। কিন্তু পরে তা ভুল প্রমানিত হয়ে হযরত আলী ওরফে সজল আদালতে তার দোষ স্বীকার করে। হযরত আলি নাম পাল্টিয়ে সজল রাখে সেতু এবং তার মায়ের কাছে সেতু এই নামটিই বলছিল।

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার
মোবা-০১৭১০৪৭১৯৪৭
তারিখ-২৮/০৪/২০১৯ খ্রিঃ।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: