ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

আপনার সন্তান দুরন্ত, একগুঁয়ে: তাহলে কি করণীয় জেনে নিন

Akbar | প্রকাশিত: ২২ মে ২০১৯ ১৫:৩১

Akbar
প্রকাশিত: ২২ মে ২০১৯ ১৫:৩১

ডেস্ক: অনেক বাচ্চা আছে ভীষণ দুরন্ত, একদমই লেখাপড়া করতে চায় না৷ কেউ কেউ আবার খুব চুপচাপ৷ কারোর সঙ্গে মিশতে চায় না৷ কিছু বাচ্চা আবার রেগে গেলে নিজেদের উপরই আঘাত করে৷ ছোট্ট সন্তানের এই ধরনের সমস্যা উদ্বেগ বাড়ায় বাবা-মায়ের৷

ইনস্টিটিউট অফ সেনসরি ইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ডিরেক্টর ডা: নীরজ সিং-এর মতে, “শিশুরা চঞ্চল হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব সময় দুরন্তপনা, কোনও কথা শুনতে না চাওয়া, কিংবা অনর্গল কথা বলার মতো প্রবণতা দীর্ঘ দিন ধরে চললে শিশুটি অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভ ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি)-এর শিকার হতে পারে।” তিনি জানান, ৩-১২ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এডিএইচডি-র প্রবণতা বেশি।বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই লক্ষণগুলো বুঝতে পারেন।

কোন লক্ষনগুলি অস্বাভাবিক:

মাত্রাতিরিক্ত দুরন্ত, মনসংযোগের অভাব, গুছিয়ে কথা বলতে না পারা, কারোর কথায় সাড়া না দেওয়া, মারপিট করা, কারোর সঙ্গে না মিশে একলা থাকা, অতিরিক্ত ভিতি কিংবা রেগে গিয়ে নিজের উপর আঘাত করা-এই ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ দেখলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন৷

শিশুর এধরনের সমস্যা কেন হয়?
কিছু বাচ্চার কথা বলা, হাঁটাচলা, মস্তিষ্কের বিকাশ সময়ের চেয়ে দেরিতে হয়৷ একে গ্লোবাল ডেভলপমেন্ট ডিলে বলে৷ সাধারণত গর্ভবস্থায় মায়ের কোনও শারীরিক ও মানসিক চাপজনিত সমস্যা হলে এই সমস্যা হয়৷

অপুষ্টিজনিত কারণে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দেয়। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে সন্তান ধারণ করার পর থেকে মায়ের খাদ্যাভ্যাস এবং আচরণ অনেকাংশে দায়ী।

বংশগত কারণে হতে পারে, অর্থাৎ পরিবারের কারো মধ্যে পূর্বে এমন স্বভাব থাকলে শিশুর মধ্যে হতে পারে।মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টল অংশে নিউরোট্রান্সমিটার নামক রাসায়নিকের অস্বাভাবিকতার কারণে শিশু এমন আচরণ করতে পারে।

বাবা-মার কাছ থেকে পর্যাপ্ত আদর স্নেহ পাওয়ার বদলে অবজ্ঞা অবহেলা পেলে শিশু মনোযোগ পেতে চঞ্চল হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে এটা রোগ হয়ে দাঁড়ায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: