বৃহস্পতিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে এলে পুলিসের সন্দেহ হয়। সেই সন্দেহের জেরেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। আর তাতেই বেরিয়ে এলে চাঞ্চল্যকর তথ্য।পুলিসের কাছে সুজিতের দশ বছরের ছেলে জানিয়েছে, মা ও গৃহশিক্ষক নয়ন পাল বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছে বাবাকে। শুধু তাই নয় দেখে ফেলায় তাকেও খুন করার হুমকি দেয় নয়ন।
ওই তথ্য বেরিয়ে আসার পরই নয়ন পাল ও সম্পা মন্ডলকে চাপ দেয় পুলিস। তাতেই বেরিয়ে আসে গোটা ঘটনা।দীর্ঘ দিন ধরে সম্পর্ক ছিল গৃহবধূ সম্পা মন্ডল ও নয়ন পালের। সেই সম্পর্কের জেরেই স্বামী সুজিত মন্ডলকে খুনের পরিকল্পনা করে ফেলে সম্পা। বুধবার রাতে সুজিতকে চপের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় সে। সেই ওষুধ এনে দেয় নয়ন। সকালে দেখা যায় সুজিত বেঁচে রয়েছে। সেই খবর সম্পা দেয় নয়নকে। সম্পার বাড়িতে চলে আসে নয়ন। তারপর বালিশ চাপা দিয়ে সুজিতকে খুন করে দুজনে। গোটা ঘটনাটি দেখে ফেলে সম্পার ছেলে। সম্পা ও নয়নকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: