
ঈদের ছুটিতে সৎভাইয়ের অফিস দেখতে মতিঝিলের সিটি সেন্টারে গিয়েছিল তানজিনা আক্তার রূপা। কিন্তু ১৭ বছর বয়সী এই কলেজছাত্রী কি জানতো সেখানে তার জন্য কী অপেক্ষা করছে। সে হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি ভাইয়ের হাতে তাকে ধ’র্ষণ চে’ষ্টার শি’কার হতে হবে। বাধা দিলে গ’লা টি’পে হ’ত্যা করে ছু’ড়ে ফে’লা দেওয়া হবে ভবনের ১৪ তলা থেকে। ঠিক এমনটিই ঘটেছিল তার সঙ্গে সেদিন।
গত ১০ আগস্টের এই ঘটনার পর নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রূপার সৎভাই যুবায়ের আহম্মেদ সম্রাট।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওসি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে হ’ত্যার আগে রূপাকে ধ’র্ষণের চে’ষ্টা করেন সম্রাট। রূপা বাধা দিলে তাকে গ’লা টি’পে হ’ত্যা করেন। এই ঘটনা থেকে রে’হাই পেতে তাকে ১৪ তলা থেকে নিচে ফেলে আত্মহ’ত্যার নাটক সাজান সম্রাট। ঘটনার পরের দিন ১১ আগস্ট সম্রাটকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
রূপা থাকতেন ঢাকার দক্ষিণ গোড়ানে। আলী আহম্মেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
গত ১০ আগস্ট বিকেল ৪টার সময় ছুটিতে সিটি সেন্টারে ঘুরতে গিয়েছিল রূপা। পরে সম্রাট ও রূপা ৩২ তলার ছাদেও উঠেছিল। সেখানে গিয়ে হেলিপ্যাড দেখে তারা। তারপর ১৪ তলায় নেমে আসেন দুজন। সেখানেই ধ’র্ষণচেষ্টার পর রূপাকে নিচে ফেলে দেন সম্রাট।
এ ঘটনার পর রূপার মা দণ্ডবিধি ৩০২ ধারার হ’ত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিয়ানীবাজার থেকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: