ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২
ডিসি-র ভিডিও

ডিসি ও এসডি হলেন অফিসের খাস কামরায় এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহুর্ত কাটানোর ভিডিও প্রকাশের জেরে

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০১৯ ২৩:২২

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০১৯ ২৩:২২

 

সিসিটিভি ক্যামেরাাভিডিওটি কোন সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে নাকি গোপন ক্যামেরা ব্যাবহার করে তোলা হয়েছে তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

ডিসির সুন্দরী বউ তারপর তার লাগে অলগা।   

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি সেক্স টেপের জের ধরে বাংলাদেশের একজন জেলা প্রশাসককে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

ডিসি বা জেলা প্রশাসক মূলত একটি জেলার সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তা।

গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও, যেখানে একটি ছোট কামরায় একজন পুরুষ ও নারীকে শারিরীকভাবে মিলিত হতে দেখা যাচ্ছে, তারই জের ধরে ওই ডিসিকে তার বর্তমান দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওএসডিতে পরিণত করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন রবিবার সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন এবং বলেন এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখবার জন্য তারা একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করতে যাচ্ছেন।

"আমাদের চাকরির বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে তার বিরুদ্ধে", সাংবাদিকদের বলছিলেন মি. হোসেন।

এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে পরবর্তীতে ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রেও কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রাখা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

"সমাজ পরিবর্তনের একজন মূল ব্যক্তি হিসেবে যার দায়িত্ব পালন করার কথা, তার এমন চারিত্রিক স্খলনজনিত কর্মকান্ডে জড়িত থাকা প্রত্যাশিত নয়।" বলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী।

কী ছিল ভিডিওতে?

এভাবেই রুটি বানাতে গিয়ে চোখ পড়ে।   

কয়েকদিন আগে একজন পুরুষের সাথে এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়।

ওই ভিডিওতে দেখা যাওয়া পুরুষটিকে অনেকেই উল্লেখিত ডিসি বলে চিহ্নিত করেন। এবং যে কক্ষটি দেখা গেছে ভিডিওটিতে সেটিকে ডিসির কার্যালয় সংলগ্ন খাস কামরা বলে চিহ্নিত করা হয়।

বাংলাদেশের অনেক সরকারি দপ্তরেই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য খাস কামরার বন্দোবস্ত আছে।

ভিডিওর শেষ পর্যায়ে খাস কামরার বিছানায় দুজনকে শুয়েও থাকতে দেখা যায়।

এসময় ভিডিওতে থাকা পুরুষটি সপূর্ণ নগ্ন ছিলেন।

ঘটনাটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ শোরগোল তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট জেলার স্থানীয় সাংবাদিকেরা ওই ডিসির কাছে ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন করেন।

ওই ডিসি তখন দাবী করেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিটি তিনি নন। কিন্তু খাস কামরাটি তারই বলে স্বীকার করেন তিনি।

এবার এই ভিডিওর জের ধরেই ডিসিকে ওএসডি করা হল।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভিডিওতে যে নারীকে দেখা গেছে তিনিও যদি সরকারি কর্মচারী হয়ে থাকেন তাহলে তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

BBC 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: